ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

২৩ বছর ধরে কেন ঝুলে আছে ডিভোর্স মামলা

বিনোদন প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিভোর্সের মামলার নিষ্পত্তি ২৩ বছর পরেও হয়নি! খাতা-কলমে আজও ‘বিবাহিত’ টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখে একথা জানালেন অভিনেত্রী।

টালিউড তাকে চেনে স্পষ্টবক্তা হিসাবে। প্রেম, ভাঙা বিয়ে, সন্তান বা অন্য কোনো বিষয়- সব কিছু নিয়েই বরাবর অকপট স্বস্তিকা। দীর্ঘ ফিল্মি ক্যারিয়ারে বিতর্ক হামেশাই সঙ্গে থেকেছে, তবে সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

তার ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থেকেছে বিতর্কে। কখনও নায়ক তো কখনও কোনো নামী পরিচালকের সঙ্গে স্বস্তিকার প্রেমের গুঞ্জন ডানা মেলেছে। তবে একা মা স্বস্তিকা সব ঝড়ঝাপটা সামলেছেন নিজেই।

১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। তখন তার বয়স সবে মাত্র ১৮ বছর! বাবা-মা’র পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই তাল কাটে সম্পর্কে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বস্তিকা। এরপর কেটেছে ২৩ বছর, কিন্তু স্বস্তিকা-প্রমিতের ডিভোর্স মামলা আজও আদালতে বিচারাধীন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা বলেন, ‘না, আমার ডিভোর্সটা এখনও হয়নি। তবে নিশ্চয় হবে। আমাদের বিচারব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’

স্বামীর কাছ থেকে কখনও কোনো খোরপোষ নেননি, একথা জানিয়ে স্বস্তিকা বলেন- ‘আমি সর্বোতভাবে চাই ডিভোর্সটা হোক। চাই এটা শেষ হোক, একটা নিষ্পত্তি ঘটুক, তবে এমন নয় এটা আমার জীবনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে। তখন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম, এখন আমার মেয়ে মাস্টার্স করতে চলে গেছে। যুদ্ধের অধিকাংশইটা আমি লড়ে ফেলেছি, জিতেওছি। চাই আমার চুলগুলো পেকে যাওয়ার আগে যাতে (ডিভোর্সটা) হয়ে যায়’।

কেন এত বছরেও মিটলো না ডিভোর্সের মামলা? অভিনেত্রী বলেন, ‘কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে, এক আইনজীবীর থেকে আরেক আইনজীবী, এটা সেটা চলছে। আমরা হয়ত মন দিয়ে একটু অ্যাগ্রেসিভলি এর পেছনে পড়ে থাকা উচিত। আমার মা অনেকটা সামলাতেন। সত্যি বলতে আমি এর পেছনে একটুও সময় দিতে পারি না। আমার সত্যি সময় নেই। ঠিক করেছি একমাস সময় নেব, তারপর মন দিয়ে এই ব্যাপারটা সামলাব।’

একা হাতেই মেয়ে অন্বেষাকে মানুষ করেছেন স্বস্তিকা। এখন বিদেশে গিয়ে স্নাতোকত্তোরের পড়াশোনা করেছে ২৩ বছরের অন্বেষা। এত কম বয়সে বিয়ে, ভাঙা সংসারের যন্ত্রণা- সবটা সামলে সফল ক্যারিয়ার গড়েছেন স্বস্তিকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

২৩ বছর ধরে কেন ঝুলে আছে ডিভোর্স মামলা

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডিভোর্সের মামলার নিষ্পত্তি ২৩ বছর পরেও হয়নি! খাতা-কলমে আজও ‘বিবাহিত’ টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখে একথা জানালেন অভিনেত্রী।

টালিউড তাকে চেনে স্পষ্টবক্তা হিসাবে। প্রেম, ভাঙা বিয়ে, সন্তান বা অন্য কোনো বিষয়- সব কিছু নিয়েই বরাবর অকপট স্বস্তিকা। দীর্ঘ ফিল্মি ক্যারিয়ারে বিতর্ক হামেশাই সঙ্গে থেকেছে, তবে সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

তার ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থেকেছে বিতর্কে। কখনও নায়ক তো কখনও কোনো নামী পরিচালকের সঙ্গে স্বস্তিকার প্রেমের গুঞ্জন ডানা মেলেছে। তবে একা মা স্বস্তিকা সব ঝড়ঝাপটা সামলেছেন নিজেই।

১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। তখন তার বয়স সবে মাত্র ১৮ বছর! বাবা-মা’র পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই তাল কাটে সম্পর্কে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বস্তিকা। এরপর কেটেছে ২৩ বছর, কিন্তু স্বস্তিকা-প্রমিতের ডিভোর্স মামলা আজও আদালতে বিচারাধীন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা বলেন, ‘না, আমার ডিভোর্সটা এখনও হয়নি। তবে নিশ্চয় হবে। আমাদের বিচারব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’

স্বামীর কাছ থেকে কখনও কোনো খোরপোষ নেননি, একথা জানিয়ে স্বস্তিকা বলেন- ‘আমি সর্বোতভাবে চাই ডিভোর্সটা হোক। চাই এটা শেষ হোক, একটা নিষ্পত্তি ঘটুক, তবে এমন নয় এটা আমার জীবনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে। তখন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম, এখন আমার মেয়ে মাস্টার্স করতে চলে গেছে। যুদ্ধের অধিকাংশইটা আমি লড়ে ফেলেছি, জিতেওছি। চাই আমার চুলগুলো পেকে যাওয়ার আগে যাতে (ডিভোর্সটা) হয়ে যায়’।

কেন এত বছরেও মিটলো না ডিভোর্সের মামলা? অভিনেত্রী বলেন, ‘কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে, এক আইনজীবীর থেকে আরেক আইনজীবী, এটা সেটা চলছে। আমরা হয়ত মন দিয়ে একটু অ্যাগ্রেসিভলি এর পেছনে পড়ে থাকা উচিত। আমার মা অনেকটা সামলাতেন। সত্যি বলতে আমি এর পেছনে একটুও সময় দিতে পারি না। আমার সত্যি সময় নেই। ঠিক করেছি একমাস সময় নেব, তারপর মন দিয়ে এই ব্যাপারটা সামলাব।’

একা হাতেই মেয়ে অন্বেষাকে মানুষ করেছেন স্বস্তিকা। এখন বিদেশে গিয়ে স্নাতোকত্তোরের পড়াশোনা করেছে ২৩ বছরের অন্বেষা। এত কম বয়সে বিয়ে, ভাঙা সংসারের যন্ত্রণা- সবটা সামলে সফল ক্যারিয়ার গড়েছেন স্বস্তিকা।