অবসর নেওয়ার আগে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার ‘আইন সংশোধনের’ আলোচিত মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। এ রায়ে সংশোধিত আইনের কিছু ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করে সেগুলো বাতিল করে দিয়েছেন তিনি।
গত বছর পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (ন্যাব) আইনে সংশোধনী আনার পর সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাগুলো তুলে নেওয়া হয়।
আর এ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই পিটিশনের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এমন ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। তবে রায়ে একজন বিচারপতি বিরোধীতা করলেও দুইজন সম্মতি জানালে তার বিরোধীতা কাজে আসেনি।
এ রায়ের ফলে পাকিস্তানের বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সেগুলো আবারও দুর্নীতি বিরোধী আদালতে ফিরে যাবে। আর এর মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম লীগ-এন এর নওয়াজ শরীফ, পিপিপির সহ-সভাপতি আসিফ আলী জারদারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো সচল হবে।
আদালত তার রায়ে বলেছেন, আইন পরিবর্তন করার পর যেসব মামলা বাতিল করা হয়েছে সেগুলো আবারও পুনর্স্থাপন করতে হবে, সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছিল সেগুলোও আবার শুরু করতে হবে।
আদালত রায়ে আরও বলেছেন, ন্যাবের আইনে যেসব সংশোধনী আনা হয়েছিল, সেগুলোর কয়েকটি সংবিধান বিরোধী ছিল।
এদিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামী রোববার শেষবারের মতো দায়িত্ব পালন করবেন উমর আতা বান্দিয়াল। এর আগেই বড় একটি রায় দিয়ে গেলেন তিনি। সূত্র: জিও টিভি, ডন