মিথ্যাচারের কারণেই মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের কারাদণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘হেফাজতের উপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল বিএনপি। মিথ্যাচার করে আদিলুর বলেছিল, শাপলা চত্বরে ৬১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা খবর পরিবেশন করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, তাই এই শাস্তি। তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফখরুল। আদিলুর একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীর বংশধর। শহিদুল ইসলামের মা ছিলেন রাজাকার। সব ষড়যন্ত্রকারীরা এখন এক হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।’
২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির দায়ে আদিলুর রহমান খানকে গত বৃহস্পতিবার ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় সাইবার ট্রাইব্যুনার। এটি আইসিটি আইনে করা কোনো মামলার প্রথম রায়। আদিলুরের পাশাপাশি অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে একই সাজা দেওয়া হয়।
সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, অধিকার (মানবাধিকার সংগঠন) তাদের ওয়েবসাইটে বলেছিল ৬১ জন নিহত হয়েছে। সেটা যে মিথ্যা তথ্য ছিল গণমাধ্যমে সেটা উঠে এসেছিল। তারপরও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিন্দা জানিয়েছেন। আগামী ৪৫ দিন রাজপথে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রাম করবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।