ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ইউভেন্তুস অধ্যায় চুকেবুকে গেছে সেই ২০২১ সালে। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দেড় মৌসুম কাটিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে, সেখানে খেলছেন আল-নাসরের হয়ে।
কিন্তু ইউভেন্তুস ছাড়ার দুই বছর হয়ে গেলেও বেতন নিয়ে রোনালদোর সঙ্গে দলটার বনিবনা হয়নি। করোনাকালীন সময়ে খরচ কমানোর জন্য দলের খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে অনুরোধ করেছিল ইউভেন্তুস। দলের স্বার্থে বেতনের একটা বড় অংশ নেননি তখন রোনালদো। যা প্রায় ১৯.৯ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশি হিসেবে প্রায় ২৩৩ কোটি টাকার সমান। ইউভেন্তুস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, অবস্থা ঠিক হলেই বকেয়া বেতন পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও রোনালদোর বেতন দেওয়ার ব্যাপারে ইউভেন্তুসের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
রোনালদোও চুপচাপ থেকেছেন, ভেবেছেন, ইউভেন্তুস হয়তো আস্তেধীরে সে বেতন পরিশোধ করবে। কিন্তু এখন আর অপেক্ষা করতে রাজি নন এই পর্তুগিজ তারকা। বকেয়া বেতন আদায় করার জন্য ইউভেন্তুসকে আদালতে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতালির ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তই জানিয়েছে এই খবর। এর মধ্যেই রোনালদো তুরিনের কৌসুলির দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন এ ব্যাপারে।
আর্জেন্টিনার তারকা ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালার বেতনও বকেয়া রেখে দিয়েছিল ইউভেন্তুস। কিন্তু বর্তমানে রোমায় নাম লেখানো এই ফরোয়ার্ড তুরিনের কৌসুলি দপ্তরের সঙ্গে নিজের বকেয়া বেতন ফেরত পেয়েছেন ঠিকই। অবশ্য তাঁর বকেয়া বেতনের পরিমাণ ছিল কম, মাত্র ৩ মিলিয়ন ইউরো, রোনালদোর চেয়ে ছয়গুণেরও কম।
এখন দেখা যাক, ইউভেন্তুসের টনক নড়ে কি না।