Dhaka ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন এফবিআই কর্মকর্তা ও ২ কানাডিয়ান পুলিশ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও কানাডিয়ান রয়্যাল পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে সাক্ষী হিসেবে আনার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আগামী ১০ অক্টোবর এ মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

আজ রোববার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ, কেবিন দুগ্গান ও নিউইয়র্কের ক্রিমিনাল ডিভিশনের মিসেস ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এদিন এ তিন বিদেশি নাগরিক নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে পারেন কি না সে বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আমিনুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন,অ্যাটর্নি জেনারেল সারাদেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু আবেদন করার ক্ষমতা তার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশি সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি নেই জানিয়ে জেরা পেছানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ অক্টোবর জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর মুহা. মাহবুবুল আলম জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা শুরু করেছেন। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও কানাডার মাউন্টেড পুলিশের তদন্তেই প্রথমে উঠে আসে নাইকোর কাজ পাইয়ে দিতে দুর্নীতির বিষয়টি। মামলার অভিযোগপত্রে দুদক জানায়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানি নাইকোকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

Tag :

খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন এফবিআই কর্মকর্তা ও ২ কানাডিয়ান পুলিশ

আপডেট : ০৮:৫৮:১৫ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও কানাডিয়ান রয়্যাল পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে সাক্ষী হিসেবে আনার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আগামী ১০ অক্টোবর এ মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

আজ রোববার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ, কেবিন দুগ্গান ও নিউইয়র্কের ক্রিমিনাল ডিভিশনের মিসেস ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এদিন এ তিন বিদেশি নাগরিক নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে পারেন কি না সে বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আমিনুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন,অ্যাটর্নি জেনারেল সারাদেশের সব মামলায় শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু আবেদন করার ক্ষমতা তার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশি সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি নেই জানিয়ে জেরা পেছানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ অক্টোবর জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর মুহা. মাহবুবুল আলম জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা শুরু করেছেন। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও কানাডার মাউন্টেড পুলিশের তদন্তেই প্রথমে উঠে আসে নাইকোর কাজ পাইয়ে দিতে দুর্নীতির বিষয়টি। মামলার অভিযোগপত্রে দুদক জানায়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানি নাইকোকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।