![](https://71newsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর লিবিয়ার দারনা বাঁধের পাশে দাঁড়িয়ে গত শনিবার রাতে পানি বৃদ্ধির ভিডিও ধারণ করছিলেন তারেক ফাহিমি। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি ফেরেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শব্দ পান।
ওই সময়ের ঘটনার কথা স্মরণ করতে গিয়ে তারেক বলেন, যেভাবে পানি ঢুকছিল এবং গাড়িগুলো ঠেলে নিয়ে যচ্ছিল, তা দেখে ভূমিকম্পের মতো মনে হচ্ছিল।
পরিস্থিতি অবনতি হতে দেখে পরিবারদের নিয়ে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন তারেক। এরপর পানি বাড়তে থাকলে তিনি ও তাঁর পরিবার একটি পানির ট্যাংকের ওপর গিয়ে আশ্রয় নেন। তারেক বলেন, যাদের বাসায় নিচ তলায় ছিল তাঁদের মধ্যে এক শতাংশ মানুষ হয়তো বেঁচে আছেন।
পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে যান তারেক। ওই সময় তিনি রাস্তায় গিয়ে দেখেন কোথাও কোথাও কয়েক মিটার কাদার স্তূপ হয়ে আছে। তারেক বলেন, আমাদের পাশের ১৫টি ভবনের ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডবে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। এ দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দারনা শহরই। জাতিসংঘ বলছে, ড্যানিয়েলের তাণ্ডবে লিবিয়ার প্রায় ১১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১০ হাজার ১০০ মানুষ।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও উদ্ধারকারী দল ধীরে ধীরে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে তাঁরা এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেনি। স্থানীয় উদ্ধারকর্মী আবদেল ওয়াহাব হারুন (২১) জানান, গত রোববার তিনি সমুদ্র থেকে ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।
হারুন বলেন, মরদেহগুলোর মধ্যে শিশু, বয়স্ক ও অন্ত্বঃসত্ত্বা নারী ছিলেন। দুজন নারী স্বেচ্ছাসেবী সিএনএনকে জানিয়েছেন, মরদেহগুলো এখন দেখতে একই রকম দেখাচ্ছে। কারণ সেগুলো পচতে শুরু করেছে।
আসমা আওয়াদ নামের দারনার এক বাসিন্দা মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের সংবাদকর্মীকে বলেন, এটা ছিল খুব সুন্দর শহর। আমরা কি কখনও আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব বলে মনে করেন?