কানাডার নোভা স্কটিয়া রাজ্যে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় লি। এতে উপকূলীয় এলাকায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী শহর মেইনে একটি গাড়ির ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানিয়েছে।
ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে নোভা স্কটিয়ার রাজধানী হ্যালিফ্যাক্সের পশ্চিম উপকূলে স্থানীয় সময় শনিবারে আঘাত হেনেছে। এটি মেইনে শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত।
হারিকেন সেন্টার তাদের পূর্বাভাসে আরও বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরে নিউ ব্রান্সউইক এবং সেন্ট লরেন্স উপসাগরের দিকে যেতে যেতে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মেইনে থেকে উত্তরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত পর্যন্ত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে।
নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি একজন মোটরচালক। বয়স আনুমানিক ৫১ বছর। তিনি মেইনের মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়েন। তাঁর গাড়ির ওপর একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে।
মেইনের পুলিশ প্রধান ব্রায়ান লুন্ট বলেন, গাছের ডালটি বিদ্যুতের তারসহ গাড়িটির ওপর পড়লে তিনি বিদ্যুতায়িত হন। পরে উদ্ধারকর্মীরা বিদ্যুতের লাইন কেটে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত গাড়ি চালকের পরিচয় এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বার্তা সংস্থা এপি আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কানাডার নোভা স্কটিয়ার উপকূলীয় রাস্তাগুলো ভেসে গেছে। ইতিমধ্যে হ্যালিফ্যাক্স স্ট্যানফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
হ্যালিফ্যাক্সের কাউন্সিলর প্যাম লাভলেস বলেন, এই এলাকায় দাবানল ও বন্যার ক্ষত এখনো শুকায়নি। এরমধ্যে আবার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানল। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপর্যয়!
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় লির কারণে শনিবার দুপুর থেকে নোভা স্কোটিয়ার ২৭ শতাংশ, নিউ ব্রান্সউইকের ৮ শতাংশ, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডের ৩ শতাংশ এবং মেইনের ১১ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।