রূপচর্চায় আপনি কতটা ভাল ফল পাবেন, তার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রডাক্ট ব্যবহারে। তবে তা অবশ্যই সঠিক ক্রম অনুসারে হতে হবে। ক্রম ঠিক না থাকলে এসব পণ্য ত্বকের জন্য খুব একটা উপকার হবে না। উপরক্তো ত্বকের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই আপনাকে সঠিক ক্রম অনুসারে প্রডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।
রূপচর্চার জন্য নিশ্চয় ফেসওয়াশ বা ক্লেনজার, টোনার, স্ক্রাব, সানস্ক্রিন, ময়শ্চারাইজার, আই ক্রিম বা আই ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু কোনটির পরে কোন পণ্য ব্যবহার করতে হবে, তা অনেকে জানেন না। অনেকে ইচ্ছে মতো পণ্য ব্যবহার করে। অনেকে জানে না যে, রূপচর্চার ভাল ফল পেতে চাইলে জানতে হবে সঠিক ব্যবহার।
প্রথমেই আসে ক্লেনজারের ব্যবহার। তার আগে অবশ্যই মেকআপ ঠিকঠাক তুলতে হবে। অনেকে এর জন্য অয়েল বেসড রিমুভার ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে বাড়তি তেল মুছে নিতে হবে। তারপর ব্যবহার করুন ক্লেনজার।
ক্লেনজারের পর কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর করতে হবে। এটি সবসময় রাতে ব্যবহার করবেন। আর পরদিন রোদ বা সূর্যের আলোয় ত্বক এক্সপোজ যেন না করে। এরপর লাগাবেন টোনার ও সেরাম। আই ক্রিম লাগিয়ে নিন সেরামের পর। দিনের বেলায় সানস্ক্রিন আর রাতে ময়শ্চারাইজার লাগান। ফেশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে চাইলে সবার শেষে করুন।
রূপচর্চার পণ্য কখন ব্যবহার করবেন তা তো জানলেন। কিন্তু কোনটা কত পরিমান সেটা কি জানেন? ক্লেনজার নিবেন পাঁচ টাকার কয়েনের সমপরিমান। লিকুইড স্ক্রাবও একই পরিমান লাগতে হবে। স্ক্রাব ক্রিম হয় তবে ক্লেনজারের অর্ধেক পরিমান নিতে হবে। টোনারও একই মাপে নিতে পারেন। তবে ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন স্ক্রাব ক্রিমের অর্ধেক। আইক্রিম আঙ্গলের মাথায় সামান্য। সেরাম ও ফেশিয়াল ক্লেনজারের অর্ধেক পরিমান। ত্বকের যত্ন নিতে এই ক্রম মানলে, পরিবর্তন নিজেই দেখতে পাবেন।