একপেশে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ভারত
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
যেকোনোভাবেই হোক ফাইনালে ফল আনতে হবে। এশিয়া কাপের ফাইনালের জন্য তাই রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা করেছিল এসিসি। বৃষ্টি ঠিকই হানা দিয়েছে। খেলা শুরু হতে ৪০ মিনিট দেরি হয়েছে। তাতে জেগেছিল শঙ্কা, রিজার্ভ ডেতেও ম্যাচের ফল পাওয়া যাবে তো?
শ্রীলঙ্কায় রিজার্ভ ডে থাকার পরও ফাইনাল বাতিল হওয়ার নজির আছে। ২০২২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেমন ট্রফি ভাগাভাগি করতে হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে। তাই আজ দুপুরে কলম্বোর বৃষ্টি শঙ্কা জাগিয়েছিল।
কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজের এক স্পেল ম্যাচের ভাগ্য, ফল নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিল। ম্যাচ নিয়ে আগ্রহও। স্থানীয় সময় ৩ টা ৪০ মিনিটের পর শুরু হওয়া ম্যাচে দুই ইনিংসের মাঝে বিরতি ছিল। তারপরও সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে ম্যাচ শেষ!
এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতল ভারত। শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিল রোহিত শর্মারা। এটা তাদের অষ্টম এশিয়া কাপ ট্রফি।
এর আগে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তবে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা।
খেলার শুরু থেকেই চলতে থাকে ভারতের বোলিং তাণ্ডব। মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলংকার ধস শুরু হয়। ৭ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন সিরাজ। এছাড়া ২ ওভার ২ বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। বাকী একটি উইকেট পেয়েছেন জনপ্রিত বুমরাহ।
শ্রীলংকার ইনিংসে দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন মাত্র দু’জন। কুশাল মেন্ডিস করেছেন ১৭ রান। যা শ্রীলংকার ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। আর দুশান হেমন্ত করেছেন ১৩ রান।
৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬.১ ওভারেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ওপেনিং জুটির দুই ব্যাটার শুভমান গিল ও ঈশান কিষাণের কাছে পাত্তাই পায়নি লঙ্কান বোলাররা।
ওয়ানডেতে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায়নি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে মাত্র দুবার এর চেয়েও কম সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ হয়েছে কোনো ওয়ানডে।
২০২০ সালে করোনা সংক্রমণে বিশ্ব থমকে যাওয়ার আগ কীর্তিপুরে দেখা হয়েছিল নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের। প্রথমে ব্যাট করা যুক্তরাষ্ট্র ১২ ওভার খেলতে পেরেছিল। ৩৫ রানে অলআউট হয়ে সর্বনিম্ন স্কোরের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়েছিল আমেরিকানরা।
সে রান তাড়া করতে নেমে ৫.২ ওভারে ম্যাচ শেষ করেছিল নেপাল। অর্থাৎ দুই দল মিলে মাত্র ১০৪ বল খেলেছিল সেদিন।
২০০১ সালে চামিন্দা ভাসের ভয়ংকর স্পেলের সামনে ৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ১৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ভাস জিম্বাবুয়েকে তৎকালীন সর্বনিম্ন স্কোরের বিশ্বরেকর্ডের লজ্জা দিয়েছিলেন। তাড়া করতে নেমে ৪.২ ওভারে ম্যাচ শেষ করেছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়ারা। এর আগে জিম্বাবুয়ে টিকেছিল ১৫.৪ ওভার। অর্থাৎ পুরো ম্যাচে মাত্র ২০ ওভার খেলা হয়েছিল।
মজার ব্যাপার সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ম্যাচের শীর্ষ পাঁচের বাকি দুটি ঘটনায়ও জড়িত শ্রীলঙ্কা। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডাকে ৩৬ রানে অলআউট করে আবার বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেদিন কানাডা এই রান করতে ১৮.২ ওভার খেললেও শ্রীলঙ্কা সেটা তাড়া করেছিল ৪.৪ ওভারে।
পরের বছরেই আবার নতুন বিশ্বরেকর্ড। আবারও জিম্বাবুয়েকে ৩৫ রানে অলআউট করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে এবার এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯.২ ওভার খেলতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। সবমিলিয়ে সেদিন ২৭.২ ওভার খেলা হয়েছিল।
ম্যাচের দৈর্ঘ্য ম্যাচ সাল
১৭.২ ওভার নেপাল-যুক্তরাষ্ট্র ২০২০
২০ শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ২০০১
২১.৩ ভারত-শ্রীলঙ্কা ২০২৩
২৩.২ শ্রীলঙ্কা-কানাডা ২০০৩
২৭.২ শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ২০০৪