Dhaka ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ভয়াবহ মোড় নিতে পারে

সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগির ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সব অনুমোদন জোগাড় করে ফেলবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর সেই অস্ত্র পেলে রাশিয়ার ভেতরে রুশ সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে ইউক্রেন। এতে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও তো চুপ করে থাকার বান্দা নন। তিনি আরও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করে এর জবাব দেবেন- এ নিয়ে সন্দেহ থাকা উচিত না।

মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের গত ১১ সেপ্টেম্বরের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেমস (এটিএসিএমএস) ইউক্রেনে পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে বেশি দিন লাগবে না।

সবাই জানেন, যুদ্ধ এখন আর এক তরফা নেই। কয়েক মাস ধরেই পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে ইউক্রেন। এমনকি মস্কো শহরের বিভিন্ন ভবনে আছড়ে পড়ছে ড্রোন। পাল্টা হামলার পরই বাড়তি অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে ইউক্রেনের। এবার তাই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে দেশটি।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গত আগস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জিওপলিটিক্যাল ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসেস (জিআইএস)। তাতে একটি অস্ত্রের তালিকা দেন ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেকসি দানিলভ। কী নেই সেই তালিকায়। পারলে পারমাণবিক বোমাও হয়তো চেয়ে বসতেন দানিলভ।

অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন সক্ষমতার গোলাবারুদ ও কামান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, বহু কাজের উপযোগী যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন। এ ছাড়া রোবোটিক সমরাস্ত্রও চাইছে কিয়েভ। যেসব অস্ত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ঠিকঠাকমতো ব্যবহারের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে জানায় দেশটি।

এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনকে হিমার্স থেকে নিক্ষেপ করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র দেয় আমেরিকা। এটি ৭০ কিলোমিটার দূরে হামলা চালাতে সক্ষম। এরপরই মূলত অত্যাধুনিক আরও অস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করে রাশিয়া।

তবে এবার আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন। আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেমস (এটিএসিএমএস) হিমার্স থেকে নিক্ষেপ করলে ৩০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হামলা চালানো সম্ভব। এ কারণে দক্ষিণ সীমান্ত নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে রাশিয়াকে।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহে বাইডেনের প্রাথমিক অনীহার ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। বাইডেনের অনীহার কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, এটিএসিএমএস রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা যুদ্ধের ব্যাপ্তি আরও বাড়াবে। এই কারণেই হয়তো মস্কোতে ড্রোন হামলা করেই ক্ষান্ত রয়েছে ইউক্রেন। বাইডেনের চিন্তা আসলে পুতিনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে।

তবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের হাতে রয়েছে। যুক্তরাজ্য দিয়েছে স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে হামলায় ইউক্রেন এটিই ব্যবহার করেছে বলে ধারণা। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর ইউক্রেনকে এফ-১৬ ফাইটার জেট সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের বিপরীতে বাইডেনের সিদ্ধান্ত একটি ভিন্ন ইঙ্গিত দেয়। আর সেটি হলো, ইউক্রেনের অস্ত্রাগারকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে আমেরিকা।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে আরও এগিয়ে যেতে পারে ইউক্রেন। কেননা এরই মধ্যে জার্মানিও আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার চিন্তা করছে, যেটি ৫০০ কিলোমিটার দূরে হামলা চালাতে পারে।

২০২২ সালে রুশ হামলার পর থেকেই বিশ্ববাসীর কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়ে আসছে কিয়েভ। জাতিসংঘের আর্টিকেল ৫১-এর কথা উল্লেখ করে ওলেকসি দানিলভ বলেন, প্রতিরক্ষার কারণে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অবশ্যই ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো উচিত।

যে-সব অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে রাশিয়া। তবে এবার জার্মানি ও আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র এলে নিজেদের এলাকাতেই অনিরাপদ থাকতে হবে দেশটিকে। এরই মধ্যে ক্রিমিয়াতে হামলা চালাতে শুরু করেছে ইউক্রেন।

ঠিক এ কারণেই এখন চাপটা একটু বেশি দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জো বাইডেন ও ন্যাটো নেতাদের তাগিদ দিয়েই যাচ্ছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেই বসলেন, এভাবে দেরি করে অস্ত্র দেওয়ার কারণে ইউক্রেনের সেনারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।

ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাশিয়া তার প্রতিরক্ষা লাইনজুড়ে মাইন পুঁতে রেখেছে। দেশটিকে এখন বিশ্বের অন্যতম মাইন ফিল্ড বলে মনে করা হয়। তবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি শুরু হয়েছে এবার। পুতিন কী করবেন, সেটিই দেখার বিষয়।

এদিকে ইউক্রেনে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধে চলতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ফাঙ্কেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সব যুদ্ধই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলতে থাকে। এ জন্য ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’

ন্যাটোর প্রধান তো বলেই খালাস। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র। এ ছাড়া বেলারুশকে চাইলেই যুদ্ধে যুক্ত করতে পারবেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও অস্ত্র নিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে পুতিনের। পশ্চিমাদের কারণে এসব অস্ত্র পুতিন ব্যবহার করলে কী ধরনের বিপর্যয় সারা বিশ্বে নেমে আসতে পারে, তা কল্পনারও বাইরে। এমনিতেই এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ ভুগছে। এখন প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার যদি বাড়ে, তাহলে সেটা হবে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা আরকি।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ভয়াবহ মোড় নিতে পারে

আপডেট : ০৭:১৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগির ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সব অনুমোদন জোগাড় করে ফেলবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর সেই অস্ত্র পেলে রাশিয়ার ভেতরে রুশ সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে ইউক্রেন। এতে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও তো চুপ করে থাকার বান্দা নন। তিনি আরও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করে এর জবাব দেবেন- এ নিয়ে সন্দেহ থাকা উচিত না।

মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের গত ১১ সেপ্টেম্বরের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেমস (এটিএসিএমএস) ইউক্রেনে পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে বেশি দিন লাগবে না।

সবাই জানেন, যুদ্ধ এখন আর এক তরফা নেই। কয়েক মাস ধরেই পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে ইউক্রেন। এমনকি মস্কো শহরের বিভিন্ন ভবনে আছড়ে পড়ছে ড্রোন। পাল্টা হামলার পরই বাড়তি অস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে ইউক্রেনের। এবার তাই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে দেশটি।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গত আগস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জিওপলিটিক্যাল ইন্টিলিজেন্স সার্ভিসেস (জিআইএস)। তাতে একটি অস্ত্রের তালিকা দেন ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেকসি দানিলভ। কী নেই সেই তালিকায়। পারলে পারমাণবিক বোমাও হয়তো চেয়ে বসতেন দানিলভ।

অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন সক্ষমতার গোলাবারুদ ও কামান, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, বহু কাজের উপযোগী যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন। এ ছাড়া রোবোটিক সমরাস্ত্রও চাইছে কিয়েভ। যেসব অস্ত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ঠিকঠাকমতো ব্যবহারের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে জানায় দেশটি।

এর আগে ২০২২ সালে ইউক্রেনকে হিমার্স থেকে নিক্ষেপ করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র দেয় আমেরিকা। এটি ৭০ কিলোমিটার দূরে হামলা চালাতে সক্ষম। এরপরই মূলত অত্যাধুনিক আরও অস্ত্র ব্যবহার করতে শুরু করে রাশিয়া।

তবে এবার আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন। আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেমস (এটিএসিএমএস) হিমার্স থেকে নিক্ষেপ করলে ৩০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হামলা চালানো সম্ভব। এ কারণে দক্ষিণ সীমান্ত নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে রাশিয়াকে।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহে বাইডেনের প্রাথমিক অনীহার ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। বাইডেনের অনীহার কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, এটিএসিএমএস রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা যুদ্ধের ব্যাপ্তি আরও বাড়াবে। এই কারণেই হয়তো মস্কোতে ড্রোন হামলা করেই ক্ষান্ত রয়েছে ইউক্রেন। বাইডেনের চিন্তা আসলে পুতিনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে।

তবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের হাতে রয়েছে। যুক্তরাজ্য দিয়েছে স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে হামলায় ইউক্রেন এটিই ব্যবহার করেছে বলে ধারণা। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর ইউক্রেনকে এফ-১৬ ফাইটার জেট সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের বিপরীতে বাইডেনের সিদ্ধান্ত একটি ভিন্ন ইঙ্গিত দেয়। আর সেটি হলো, ইউক্রেনের অস্ত্রাগারকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে আমেরিকা।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে আরও এগিয়ে যেতে পারে ইউক্রেন। কেননা এরই মধ্যে জার্মানিও আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার চিন্তা করছে, যেটি ৫০০ কিলোমিটার দূরে হামলা চালাতে পারে।

২০২২ সালে রুশ হামলার পর থেকেই বিশ্ববাসীর কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়ে আসছে কিয়েভ। জাতিসংঘের আর্টিকেল ৫১-এর কথা উল্লেখ করে ওলেকসি দানিলভ বলেন, প্রতিরক্ষার কারণে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অবশ্যই ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো উচিত।

যে-সব অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে রাশিয়া। তবে এবার জার্মানি ও আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র এলে নিজেদের এলাকাতেই অনিরাপদ থাকতে হবে দেশটিকে। এরই মধ্যে ক্রিমিয়াতে হামলা চালাতে শুরু করেছে ইউক্রেন।

ঠিক এ কারণেই এখন চাপটা একটু বেশি দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জো বাইডেন ও ন্যাটো নেতাদের তাগিদ দিয়েই যাচ্ছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেই বসলেন, এভাবে দেরি করে অস্ত্র দেওয়ার কারণে ইউক্রেনের সেনারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।

ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাশিয়া তার প্রতিরক্ষা লাইনজুড়ে মাইন পুঁতে রেখেছে। দেশটিকে এখন বিশ্বের অন্যতম মাইন ফিল্ড বলে মনে করা হয়। তবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি শুরু হয়েছে এবার। পুতিন কী করবেন, সেটিই দেখার বিষয়।

এদিকে ইউক্রেনে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধে চলতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ফাঙ্কেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সব যুদ্ধই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলতে থাকে। এ জন্য ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’

ন্যাটোর প্রধান তো বলেই খালাস। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র। এ ছাড়া বেলারুশকে চাইলেই যুদ্ধে যুক্ত করতে পারবেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও অস্ত্র নিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে পুতিনের। পশ্চিমাদের কারণে এসব অস্ত্র পুতিন ব্যবহার করলে কী ধরনের বিপর্যয় সারা বিশ্বে নেমে আসতে পারে, তা কল্পনারও বাইরে। এমনিতেই এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ ভুগছে। এখন প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার যদি বাড়ে, তাহলে সেটা হবে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা আরকি।