ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বাস সেবা। আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে বিআরটিসির একটি বাস ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ সেবা। বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সঙ্গে ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে প্রথম বাস উত্তরা জসীমউদ্দীন রোডের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
কার্যক্রম চালু করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চললেও যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হবে। আপাতত টোলের টাকা ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না।
বাসগুলো বিমানবন্দর হয়ে সরাসরি যাবে ফার্মগেট পর্যন্ত। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। এই বাস অনেকটা ‘শাটল’ সার্ভিসের মতো। অর্থাৎ শুধু উড়ালসড়কে চলাচল করবে।
ফার্মগেটের খেজুরবাগান থেকে উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরা জসীমউদ্দীন রোড হয়ে খেজুরবাগানে ফিরে আসবে। এভাবে সকাল সাতটা থেকে সারা দিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণ দেয়া হবে এই সেবা।
প্রথমে আটটি বাস দিয়ে শুরু হলো ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিরতিহীন সেবা। ‘শাটল সার্ভিস’হিসেবে চলবে এসব বাস। অর্থাৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বাস চলবে। অন্য পথে চলবে না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে বাসপ্রতি ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও বাসের যাত্রীদের আপাতত বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না। ঢাকার অন্যান্য বাসের মতো কিলোমিটারে ২ টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া দিতে হবে। এ পথে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। তবে উত্তরার জসিম উদ্দীন মোড় পর্যন্ত গেলে দিতে হবে ৪০ টাকা।
গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে চলছে যানবাহন। এই পথে সময় লাগছে মাত্র ১২ থেকে ১৩ মিনিট। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পর র্যাম্পের মুখে যানজটে পড়তে হচ্ছে।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা এই উড়াল মহাসড়কের সুবিধা পাচ্ছেন না।