ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই, সংস্কারের পাশাপাশি সঠিক সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন জরুরি : তারেক রহমান

কানাডার পর এবার কূটনীতিককে বহিষ্কার করল ভারতও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার জন্য দিল্লির দিকে আঙুল তুলেছে ট্রুডো প্রশাসন। এর জেরে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক পবন কুমার রাইকে বহিষ্কার করেছে তারা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

নাম প্রকাশ না করে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, কানাডার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কানাডার ওই কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার জন্য পাঁচ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে ভারতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত ক্যামেরুন ম্যাককে তলব করা হয়।

কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টা পরেই দক্ষিণ এশিয়া দেশটি থেকে এ প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে একটি শিখ মন্দিরের বাইরে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কানাডার নাগরিক নিজ্জারকে হত্যার জন্য ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছে কানাডার সরকার। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে সম্প্রচার মাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, বহিষ্কৃত কূটনীতিক পবন কুমার রাই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) মিশন প্রধান।

হাউস অব কমন্সে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মনে করছে, নিজ্জারকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাই হত্যা করেছে। কানাডার গোয়েন্দারা নিজ্জারের মৃত্যু ও ভারতের মধ্যে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যোগসূত্র শনাক্ত করেছে। কানাডার মাটিতে একজন কানাডার নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের যেকোনো ধরনের সম্পৃক্ততা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, যা অগ্রহণযোগ্য।’

বিষয়টি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশটির সরকারের একটি সূত্র সিবিসিকে বলেন, ‘কানাডার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রুডো।’ এছাড়া নিজ্জার হত্যার ঘটনায় চলমান তদন্তে ভারতকে সহযোগিতা ও অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কানাডা সরকার।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘খালিস্তানপন্থি সন্ত্রাসীদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকি দিয়ে চলেছে। খালিস্তানপন্থিদের থেকে নজর সরানোর জন্যই এই ধরনের অপ্রমাণিত অভিযোগ করা হয়েছে।’

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বহিষ্কৃত ভারতীয় কূটনৈতিক পবন কুমার রায় কানাডার ‘র’ মিশনের প্রধান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘আমার ধারণা পরিষ্কার। নিজ্জার হত্যার ঘটনায় আমরা একজন ভারতীয় কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিষ্কার করেছি। বহিষ্কৃত কূটনীতিক ‘র’ এর কানাডা মিশনের প্রধান ছিলেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডার পর এবার কূটনীতিককে বহিষ্কার করল ভারতও

আপডেট সময় : ১০:১৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার জন্য দিল্লির দিকে আঙুল তুলেছে ট্রুডো প্রশাসন। এর জেরে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক পবন কুমার রাইকে বহিষ্কার করেছে তারা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

নাম প্রকাশ না করে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, কানাডার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কানাডার ওই কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার জন্য পাঁচ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে ভারতে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত ক্যামেরুন ম্যাককে তলব করা হয়।

কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টা পরেই দক্ষিণ এশিয়া দেশটি থেকে এ প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে একটি শিখ মন্দিরের বাইরে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কানাডার নাগরিক নিজ্জারকে হত্যার জন্য ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছে কানাডার সরকার। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে সম্প্রচার মাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, বহিষ্কৃত কূটনীতিক পবন কুমার রাই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) মিশন প্রধান।

হাউস অব কমন্সে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মনে করছে, নিজ্জারকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাই হত্যা করেছে। কানাডার গোয়েন্দারা নিজ্জারের মৃত্যু ও ভারতের মধ্যে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যোগসূত্র শনাক্ত করেছে। কানাডার মাটিতে একজন কানাডার নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের যেকোনো ধরনের সম্পৃক্ততা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, যা অগ্রহণযোগ্য।’

বিষয়টি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশটির সরকারের একটি সূত্র সিবিসিকে বলেন, ‘কানাডার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রুডো।’ এছাড়া নিজ্জার হত্যার ঘটনায় চলমান তদন্তে ভারতকে সহযোগিতা ও অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কানাডা সরকার।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘খালিস্তানপন্থি সন্ত্রাসীদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকি দিয়ে চলেছে। খালিস্তানপন্থিদের থেকে নজর সরানোর জন্যই এই ধরনের অপ্রমাণিত অভিযোগ করা হয়েছে।’

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বহিষ্কৃত ভারতীয় কূটনৈতিক পবন কুমার রায় কানাডার ‘র’ মিশনের প্রধান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘আমার ধারণা পরিষ্কার। নিজ্জার হত্যার ঘটনায় আমরা একজন ভারতীয় কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিষ্কার করেছি। বহিষ্কৃত কূটনীতিক ‘র’ এর কানাডা মিশনের প্রধান ছিলেন।’