Dhaka ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের ৩৬ দেশে গুমের অভিযোগ পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বের ৩৬ দেশে ঘটে যাওয়া তিন হাজারের বেশি গুমের ঘটনা পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে গুমের মতো আরও ১০টি ঘটনার অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখবে তারা। গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার, সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধি, সুশীল নাগরিক সমাজ এবং অন্যদের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করবেন। এই সময়ে তারা প্রতিটি অভিযোগ নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করবেন।

ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম হওয়া থেকে সবাইকে সুরক্ষার ঘোষণা বাস্তবায়নে যেসব প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ উঠেছে, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল সেগুলোও খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে পীড়নমূলক আইন ও চর্চা এবং গুমের মামলাগুলো মোকাবিলায়, বিশেষ করে সত্য ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ব্যর্থতা খতিয়ে দেখবে তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়ার্কিং গ্রুপটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা করবে। যেমন–তারা বিভিন্ন দেশ পরিদর্শন করবে এবং মানবাধিকার কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে আসন্ন নির্বাচন ও গুমের বিষয়ে নজর রাখবে তারা।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৪তম অধিবেশনে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করার কথা। বলা হয়েছে, সেখানে হন্ডুরাস ও উরুগুয়েতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদে জানানো হবে এবং গুম ও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার থেকে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৩১তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অধিবেশন চলবে। সমাপনী দিনে অর্থাৎ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টায় নতুন প্রযুক্তি এবং গুমের ইস্যুতে পাবলিক ইভেন্ট করবে করবে তারা।

বিশ্বের ৩৬ দেশে গুমের অভিযোগ পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘ

আপডেট : ০৫:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বের ৩৬ দেশে ঘটে যাওয়া তিন হাজারের বেশি গুমের ঘটনা পর্যালোচনা করবে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে গুমের মতো আরও ১০টি ঘটনার অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখবে তারা। গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার, সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধি, সুশীল নাগরিক সমাজ এবং অন্যদের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করবেন। এই সময়ে তারা প্রতিটি অভিযোগ নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করবেন।

ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম হওয়া থেকে সবাইকে সুরক্ষার ঘোষণা বাস্তবায়নে যেসব প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ উঠেছে, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল সেগুলোও খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে পীড়নমূলক আইন ও চর্চা এবং গুমের মামলাগুলো মোকাবিলায়, বিশেষ করে সত্য ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ব্যর্থতা খতিয়ে দেখবে তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়ার্কিং গ্রুপটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা করবে। যেমন–তারা বিভিন্ন দেশ পরিদর্শন করবে এবং মানবাধিকার কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে আসন্ন নির্বাচন ও গুমের বিষয়ে নজর রাখবে তারা।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৪তম অধিবেশনে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করার কথা। বলা হয়েছে, সেখানে হন্ডুরাস ও উরুগুয়েতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের পরিদর্শনের বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদে জানানো হবে এবং গুম ও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার থেকে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৩১তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অধিবেশন চলবে। সমাপনী দিনে অর্থাৎ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টায় নতুন প্রযুক্তি এবং গুমের ইস্যুতে পাবলিক ইভেন্ট করবে করবে তারা।