শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত : ইসরায়েল রাষ্ট্র সংস্কারে আরও ৪ কমিশন গঠন ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ব্যবস্থা নেবে সরকার’ শেখ হাসিনা ভারতে আছেন এবং থাকবেন: ভারত কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঈদুল ফিতরে ৫, আজহায় ৬ ও দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সব সম্পদ জব্দের আদেশ ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে নিউজিল্যান্ডের লিড আ.লীগ আমলের বাজার সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়: জামায়াত আমির জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার: জিএম কাদের ওবায়দুল কাদের-জাফর ইকবালসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৪৩ থেকে ৪৬ বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি বিএনপির কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কূটনৈতিক যুদ্ধে ভারত-কানাডার সম্পর্ক চরমে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজকে স্ত্রীসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ দেশের জনগণের তোপের মুখে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেপ্টেম্বরে ১৯২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৯৫ জন শরীরচর্চা করতে গিয়ে গুরুতর আহত অভিনেত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছে সরকার: উপদেষ্টা আসিফ

বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৯৮ জন দেখেছেন
আপডেট : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থার সদর দপ্তরে স্পেন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে এই গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম পর্যালোচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, কারণ, এটি বর্তমানে অনেক নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তহবিলের সুবিধা সীমিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে একমত যে বৈশ্বিক ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম অবশ্যই পর্যালোচনা করা উচিত। বর্তমান রেটিং সিস্টেম অনেক নি¤œ এবং মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তহবিলের সুবিধাকে আরও সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভোটাধিকার, কোটা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবিএস) এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (আইএফআইএস) প্রতিনিধিত্বের সীমা তাদের দর কষাকষির ক্ষমতাকেও ক্ষুন্ন করে।

তিনি বলেন, “আমরা প্রায়শই আন্তর্জাতিক পাবলিক ফাইন্যান্সগুলোকে ব্যয়বহুল এবং নাগালের বাইরে দেখতে পাই। ঋণের ঝামেলা এড়াতে আমরা উচ্চ-সুদের ঋণ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। বাংলাদেশ কখনই এর ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি এবং আমরা সেই রেকর্ড বজায় রাখার আশা করি।”

আন্তর্জাতিক ফাইনান্সিয়াল-আর্কিটেকচারের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিত্ব করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের উন্নয়ন বিবরণী দেখায় যে, আমরা আমাদের অংশ করতে পারি।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার জন্য আমাদের প্রত্যাশার প্রতি সায় দেওয়ার সময় এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি যে আন্তর্জাতিক ফাইনান্সিয়াল-আর্কিটেকচারের জরুরী সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কারের প্রকৃতি ও পরিধির বিষয়ে এগ্রিমেন্টের ক্ষেত্রে এখনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ।’ মহাসচিবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন।’

এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, এমডিবি, আইএফআই এবং বেসরকারি ঋণদাতা সংস্থাগুলোকে তাদের অগ্রাধিকারগুলো পুনরায় সাজাতে হবে এবং এসডিজি বাস্তবায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলার জন্য অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত এবং তৃতীয় দফা সম্পর্কে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বল্প ব্যয়ে, রেয়াতি হারে তহবিলের পর্যাপ্ততা প্রয়োজন এবং পছন্দসই উচ্চমানের বিপুল পরিমাণে অনুদান এবং সমস্ত ঋণদানের উপকরণগুলোতে দুর্যোগের ধারা থাকতে হবে যাতে দুর্বল দেশগুলো সংকটকালের ধাক্কা সামলাতে পারে।

চতুর্থ দফা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঋণদাতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে ন্যায্য ও কার্যকর ঋণ হিসেবে ত্রাণ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

পঞ্চম এবং শেষ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটার পরিবর্তে এসডিআর ঋণের সীমা প্রয়োজন এবং সীমাবদ্ধতার ভিত্তিতে সহজ ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে তার সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য সুনাম কুড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মহামারীর ঠিক আগে আমাদের অর্থনীতি ৮.১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং জলবায়ু সংকট আমাদের অর্থনীতিকে চাপের মধ্যে ফেলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনে ভারসাম্য এবং আমাদের উন্নয়ন ব্যয় বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দারিদ্র্যের হার ৪১.৯ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের মাত্রা ২৫.৫ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’
এই সভা আহ্বান করায় শেখ হাসিনা স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিমেটিক অ্যামবেসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্য সংবাদ