Dhaka ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিই একমাত্র আর্জেন্টাইন যে নিজ ক্লাবে বিশ্বজয়ের স্বীকৃতি পাইনি: মেসি

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭৩ দেখেছেন

পিএসজিতে লিওনেল মেসি খুশি ছিলেন না, এটা ব্রেকিং নিউজ নিশ্চয়ই নয়। তবে মেসি নিজ মুখে সেটা সরাসরি সেভাবে বলেননি। আজ বলেছেন। আর্জেন্টাইন ইউটিউব চ্যানেল ওলগার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মনের আগল খুলে দিয়েছেন মেসি। যেখানে পিএসজিকে একেবারে ধুয়ে দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে মেসিকে প্রশ্নটা করা হয়েছে নেইমারের এক উক্তির প্রসঙ্গ ধরে। আল হিলালে যাওয়ার পর কদিন আগে নেইমার বলেছেন, পিএসজিতে তাঁকে এবং মেসিকে অনেক ভুগতে হয়েছে। মেসি পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে গিয়ে এখন স্বস্তিতে আছেন বলেও জানিয়েছেন নেইমার। সে সূত্র ধরেই মেসিকে প্রশ্ন করা হয়, পেছনে তাকিয়ে পিএসজিতে যাওয়া তাঁর কাছে ঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে কি না?

উত্তরে মেসির প্রথম শব্দটাই তাঁর পিএসজি-অধ্যায় নিয়ে যা বলার বলে দেয়, ‘না! সবকিছু তখন ওভাবে হয়ে গেছে। এমন নয় যে আমি এমন কিছু আশা করেছিলাম।’

তবে পিএসজি অধ্যায়ে একটাই ভালো দিক খুঁজে পেয়েছেন মেসি, ‘তবে সবকিছু কোনো না কোনো কারণেই তো হয়। আমি সেখানে (পিএসজি) ভালো না থাকলেও সেখানে থাকার সময়ে আমি বিশ্বকাপ জিতেছি।’

এরপরই সাক্ষাৎকারের সঞ্চালক তুলে এনেছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে মেসির পিএসজিতে ফেরার প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্য খেলোয়াড়েরা তাঁদের ক্লাবে ফেরার পর দারুণ সংবর্ধনা পেয়েছিলেন, কারও কারও ক্ষেত্রে তো স্টেডিয়ামে বিশেষ আয়োজন করে সমর্থকদের সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মেসির ক্ষেত্রে হলো কী? ক্লাবের অনুশীলন গ্রাউন্ডে দলের খেলোয়াড়-কোচরা গোল হয়ে হাততালি দিলেন, আর ক্লাবের পক্ষ থেকে দেয়া হলো একটা ফলক। ব্যস, এতটুকুই! এ নিয়ে তখনো বেশ সমালোচনা হয়েছিল।

তখন ভাবা হয়েছিল, আর্জেন্টিনার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মধ্যে শুধু মেসি (পিএসজি) আর তাগলিয়াফিকোই (লিওঁ) ছিলেন ফরাসি ক্লাবের। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকেই হারিয়েছে। তাগলিয়াফিকো তবু ভালোই সংবর্ধনা পেয়েছেন, কিন্তু পিএসজিতে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের নাম মেসি আর পিএসজিতেই ফ্রান্সের মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন বলেই মেসির সংবর্ধনা অমন ম্যাড়মেড়ে ছিল বলে ভাবা হচ্ছিল। আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর পিএসজিতে মেসির প্রতি বিদ্বেষও বেড়েছে।

মেসিও সাক্ষাৎকারে সেটিই তুলে এনেছেন, ‘আমি ওই দলের খেলোয়াড় যারা তাদের (ফরাসিদের) দলকে ফাইনালে হারিয়েছে, তাদের ‘টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ’ জিততে দেয়নি…সব মিলিয়ে তাদের আচরণের কারণ বোঝা যাচ্ছিল।’ এরপরই পিএসজিকে নিয়ে নিজের খেদটা জানিয়েছেন মেসি, ‘আমিই একমাত্র আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ছিলাম যে কিনা নিজ ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার জন্য সংবর্ধনা পাইনি। তবে ওটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’

ক্লাবের ব্যাপারে উষ্মা থাকলেও এমবাপ্পেকে নিয়ে মেসি জানিয়েছেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে এমবাপ্পের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। (পিএসজিতে) সব খেলোয়াড়ের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল।’

 

আমিই একমাত্র আর্জেন্টাইন যে নিজ ক্লাবে বিশ্বজয়ের স্বীকৃতি পাইনি: মেসি

আপডেট : ০৫:০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পিএসজিতে লিওনেল মেসি খুশি ছিলেন না, এটা ব্রেকিং নিউজ নিশ্চয়ই নয়। তবে মেসি নিজ মুখে সেটা সরাসরি সেভাবে বলেননি। আজ বলেছেন। আর্জেন্টাইন ইউটিউব চ্যানেল ওলগার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মনের আগল খুলে দিয়েছেন মেসি। যেখানে পিএসজিকে একেবারে ধুয়ে দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে মেসিকে প্রশ্নটা করা হয়েছে নেইমারের এক উক্তির প্রসঙ্গ ধরে। আল হিলালে যাওয়ার পর কদিন আগে নেইমার বলেছেন, পিএসজিতে তাঁকে এবং মেসিকে অনেক ভুগতে হয়েছে। মেসি পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে গিয়ে এখন স্বস্তিতে আছেন বলেও জানিয়েছেন নেইমার। সে সূত্র ধরেই মেসিকে প্রশ্ন করা হয়, পেছনে তাকিয়ে পিএসজিতে যাওয়া তাঁর কাছে ঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে কি না?

উত্তরে মেসির প্রথম শব্দটাই তাঁর পিএসজি-অধ্যায় নিয়ে যা বলার বলে দেয়, ‘না! সবকিছু তখন ওভাবে হয়ে গেছে। এমন নয় যে আমি এমন কিছু আশা করেছিলাম।’

তবে পিএসজি অধ্যায়ে একটাই ভালো দিক খুঁজে পেয়েছেন মেসি, ‘তবে সবকিছু কোনো না কোনো কারণেই তো হয়। আমি সেখানে (পিএসজি) ভালো না থাকলেও সেখানে থাকার সময়ে আমি বিশ্বকাপ জিতেছি।’

এরপরই সাক্ষাৎকারের সঞ্চালক তুলে এনেছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে মেসির পিএসজিতে ফেরার প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্য খেলোয়াড়েরা তাঁদের ক্লাবে ফেরার পর দারুণ সংবর্ধনা পেয়েছিলেন, কারও কারও ক্ষেত্রে তো স্টেডিয়ামে বিশেষ আয়োজন করে সমর্থকদের সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু মেসির ক্ষেত্রে হলো কী? ক্লাবের অনুশীলন গ্রাউন্ডে দলের খেলোয়াড়-কোচরা গোল হয়ে হাততালি দিলেন, আর ক্লাবের পক্ষ থেকে দেয়া হলো একটা ফলক। ব্যস, এতটুকুই! এ নিয়ে তখনো বেশ সমালোচনা হয়েছিল।

তখন ভাবা হয়েছিল, আর্জেন্টিনার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মধ্যে শুধু মেসি (পিএসজি) আর তাগলিয়াফিকোই (লিওঁ) ছিলেন ফরাসি ক্লাবের। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকেই হারিয়েছে। তাগলিয়াফিকো তবু ভালোই সংবর্ধনা পেয়েছেন, কিন্তু পিএসজিতে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের নাম মেসি আর পিএসজিতেই ফ্রান্সের মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন বলেই মেসির সংবর্ধনা অমন ম্যাড়মেড়ে ছিল বলে ভাবা হচ্ছিল। আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর পিএসজিতে মেসির প্রতি বিদ্বেষও বেড়েছে।

মেসিও সাক্ষাৎকারে সেটিই তুলে এনেছেন, ‘আমি ওই দলের খেলোয়াড় যারা তাদের (ফরাসিদের) দলকে ফাইনালে হারিয়েছে, তাদের ‘টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ’ জিততে দেয়নি…সব মিলিয়ে তাদের আচরণের কারণ বোঝা যাচ্ছিল।’ এরপরই পিএসজিকে নিয়ে নিজের খেদটা জানিয়েছেন মেসি, ‘আমিই একমাত্র আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ছিলাম যে কিনা নিজ ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার জন্য সংবর্ধনা পাইনি। তবে ওটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’

ক্লাবের ব্যাপারে উষ্মা থাকলেও এমবাপ্পেকে নিয়ে মেসি জানিয়েছেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে এমবাপ্পের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। (পিএসজিতে) সব খেলোয়াড়ের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল।’