Dhaka ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা পোল্যান্ডের

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জাতিসংঘের ভাষণের পর থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করেছে। নাম না করে ওই বক্তৃতায় পোল্যান্ডকে আক্রমণ করেছিলেন জেলেনস্কি। এরপর থেকে খাদ্যশস্য আমদানির বিষয়ে পোল্যান্ড একটি নির্দিষ্ট অবস্থান নিয়েছে। পোল্যান্ড জানিয়েছে, এবার নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া হবে।

পোল্যান্ড জানিয়েছে, তারা আর ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করবে না। কারণ এর ফলে নিজের দেশের কৃষকদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জেলেনস্কির দেশ থেকে পোল্যান্ড যে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানি করছিল, তা আর করা হবে না।

শুধু পোল্যান্ড নয়, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াও একই চিন্তা করছে। বস্তুত, কৃষ্ণসাগরের রাস্তা দিয়ে ইউক্রেন বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আফ্রিকায় পাঠাতো। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়। সে সময় থেকেই ইউরোপে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু করে ইউক্রেন। পরে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি হয়। ইউরোপের রাস্তা দিয়ে খাদ্যশস্য সরবরাহ শুরু করে ইউক্রেন। তখনো পোল্যান্ড-সহ ইউরোপের বহু দেশ ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য কিনতে থাকে।

খাদ্যশস্য আমদানির কারণে অসন্তুষ্ট হয়েছেন পোল্যান্ডের কৃষকরা। এর ফলে তাদের ব্যবসার ক্ষতির মুখে পড়েছে। সে কারণেই পোল্যান্ড তাদের অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার জাতিসংঘের ভাষণে বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এতেই খেপেছে পোল্যান্ড। কিয়েভের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ করা হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, পোল্যান্ড এবার নিজের সামরিক শক্তি উন্নত করার কাজে মন দেবে। নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করবে।

টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় এবং একইসঙ্গে মস্কোর সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো। প্রতিবেশী পোল্যান্ডও ছিল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরকরাহকারী দেশের তালিকায়।

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা পোল্যান্ডের

আপডেট : ০৭:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জাতিসংঘের ভাষণের পর থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করেছে। নাম না করে ওই বক্তৃতায় পোল্যান্ডকে আক্রমণ করেছিলেন জেলেনস্কি। এরপর থেকে খাদ্যশস্য আমদানির বিষয়ে পোল্যান্ড একটি নির্দিষ্ট অবস্থান নিয়েছে। পোল্যান্ড জানিয়েছে, এবার নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া হবে।

পোল্যান্ড জানিয়েছে, তারা আর ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করবে না। কারণ এর ফলে নিজের দেশের কৃষকদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জেলেনস্কির দেশ থেকে পোল্যান্ড যে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানি করছিল, তা আর করা হবে না।

শুধু পোল্যান্ড নয়, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াও একই চিন্তা করছে। বস্তুত, কৃষ্ণসাগরের রাস্তা দিয়ে ইউক্রেন বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আফ্রিকায় পাঠাতো। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই রাস্তা অবরুদ্ধ হয়। সে সময় থেকেই ইউরোপে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু করে ইউক্রেন। পরে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি হয়। ইউরোপের রাস্তা দিয়ে খাদ্যশস্য সরবরাহ শুরু করে ইউক্রেন। তখনো পোল্যান্ড-সহ ইউরোপের বহু দেশ ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য কিনতে থাকে।

খাদ্যশস্য আমদানির কারণে অসন্তুষ্ট হয়েছেন পোল্যান্ডের কৃষকরা। এর ফলে তাদের ব্যবসার ক্ষতির মুখে পড়েছে। সে কারণেই পোল্যান্ড তাদের অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার জাতিসংঘের ভাষণে বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এতেই খেপেছে পোল্যান্ড। কিয়েভের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ করা হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, পোল্যান্ড এবার নিজের সামরিক শক্তি উন্নত করার কাজে মন দেবে। নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করবে।

টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় এবং একইসঙ্গে মস্কোর সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলো। প্রতিবেশী পোল্যান্ডও ছিল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরকরাহকারী দেশের তালিকায়।