Dhaka ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল দখল নিয়ে জয় ঘোষণা আজারবাইজানের

আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর পর সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান। সেখানে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘাত চলছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তা কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এবার জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহলের কারণে নতুন করে বিবাদ শুরু হয়। পরে সেখানে ২৪ ঘণ্টার সামরিক অভিযান চালায় আজারবাইজান। এরপর কারবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবেই পরিচিত। এখানে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বাস করেন।

আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে প্রথম সংঘাতে জড়ায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বলে স্বীকৃত অঞ্চলটি দখল করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী।

পরে সর্বশেষ ২০২০ সালে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার কাছ থেকে আবারও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় আজারবাইজান। ৬ সপ্তাহের ওই সংঘাতে নিহত হয় ৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয় ওই যুদ্ধ।

আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা জানান, এবার নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন। তবে আর্মেনিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, এ অভিযানে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জন।

এদিকে আজারবাইজান অভিযান চালানোর পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভ হয়েছে।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল দখল নিয়ে জয় ঘোষণা আজারবাইজানের

আপডেট : ০৫:০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর পর সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান। সেখানে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘাত চলছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তা কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এবার জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহলের কারণে নতুন করে বিবাদ শুরু হয়। পরে সেখানে ২৪ ঘণ্টার সামরিক অভিযান চালায় আজারবাইজান। এরপর কারবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবেই পরিচিত। এখানে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বাস করেন।

আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে প্রথম সংঘাতে জড়ায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। ওই সময় আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বলে স্বীকৃত অঞ্চলটি দখল করে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী।

পরে সর্বশেষ ২০২০ সালে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার কাছ থেকে আবারও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় আজারবাইজান। ৬ সপ্তাহের ওই সংঘাতে নিহত হয় ৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয় ওই যুদ্ধ।

আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা জানান, এবার নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন। তবে আর্মেনিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, এ অভিযানে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জন।

এদিকে আজারবাইজান অভিযান চালানোর পর আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভ হয়েছে।