Dhaka ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের লড়াইয়ে জয়ী বৃষ্টি

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৬:০১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৬৮ দেখেছেন

সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে চলতে থাকা বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত আর পুরোপুরি থামলই না। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডের ম্যাচের ভাগ্যও লেখা হয়ে গেল তাতে। কিছুক্ষণ আগে ম্যাচটা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

৬টা ৪০ মিনিটে বৃষ্টি যখন শুরু হয়, বৃষ্টিটার তোড় বেশি ছিল না। ভাবা হচ্ছিল, কিছুক্ষণ পরই আবার হয়তো খেলা শুরু করা যাবে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমেও যায়। কাভার সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু খেলোয়াড়েরা যখন নামতে যাবেন, আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

এরপর চলতে থাকা ক্রিকেট আর বৃষ্টির এই লুকোচুরি খেলা। বৃষ্টি থামে, খেলা শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়, আবার নামে বৃষ্টি! তবে এই লুকোচুরি লুকোচুরি খেলা নিয়ে হাসি-তামাশা কমে গেল, যখন রাত আটটার পর থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। আরও আশঙ্কা জাগায় যখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও শুরু হয়।

তখনই ধারণা হয়ে গিয়েছিল, হয়তো আর খেলা শুরু করা যাবে না। বজ্রপাত আর বৃষ্টির এই তোড় দেখেই এরপর আম্পায়াররা আর বেশিক্ষণ দেরি করেননি। প্রথমে জানা গিয়েছিল, রাত ৯টা ৬ মিনিট হচ্ছে কাট অফ টাইম, এর মধ্যে খেলা শুরুর অবস্থায় না এলে ম্যাচ বাতিল করা হবে। বৃষ্টির তোড় দেখে আর অত সময়ও অপেক্ষা করেননি আম্পায়াররা, রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকেই আসে ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আজ বৃষ্টি বারবার ঝামেলা পাকিয়েছে। টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নেয়ার পর খেলা শুরু হয় বটে, কিন্তু মাত্র ২৭ বল হতে না হতেই বৃষ্টি থামিয়ে দেয় ম্যাচ। আধ ঘন্টা ধরে বৃষ্টি হয়েছে টানা। এরপরও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে কিছুক্ষণ। এরপর মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু করতে করতে প্রায় দুই ঘণ্টা চলে যায়। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ কমে – ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়ে যায় ৪২ ওভারের।

এরপর ভালোভাবেই খেলা চলছিল। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই মোস্তাফিজের তোপে নিউজিল্যান্ড দুই ব্যাটসম্যানকে হারায়, স্কোরবোর্ডে তখনো রান মাত্র ১৬। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ওপেনার উইল ইয়াং (৫৮) ও চারে নামা হেনরি নিকোলস ৯৭ রানের জুটিতে ‘রেকর্ড’ গড়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডকে পথে ফেরান। রেকর্ড বলতে, মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটিই! অবশ্য তানজিম সাকিবের করা ১৬তম ওভারে বাংলাদেশ ঠিকমতো রিভিউটা নিলে ব্যক্তিগত ১৮ রানেই এলবিডাব্লিউ হয়ে যেতেন ইয়াং, নিউজিল্যান্ড সে সময়ে হয়ে যেত ৪৯/৩।

তা হয়নি। বাংলাদেশের তখন আর জুটিটা ভাঙাই হচ্ছিল না! মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যরা বোলিং করেছেন, মিরাজ আর তানজিম সাকিব মিলেও ফেরাতে পারছিলেন না। এরপর সেই মোস্তাফিজই এসে ভাঙেন সে জুটি। ২৮তম ওভারে ফেরান নিকোলসকে (৪৪)।

মোস্তাফিজের পর দাপট শুরু হয় নাসুম আহমেদের। ৩১তম ওভারে চার বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন ইয়াং (৫৮) ও রাচিন রবীন্দ্রকে (০)। মাত্র ১১ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৫/১২৩।

কিন্তু এরপরই বৃষ্টির দাপট। সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ছিল ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬। শেষ পর্যন্ত সেখানেই ম্যাচটা থেমে গেল।

বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের লড়াইয়ে জয়ী বৃষ্টি

আপডেট : ০৬:০১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে চলতে থাকা বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত আর পুরোপুরি থামলই না। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডের ম্যাচের ভাগ্যও লেখা হয়ে গেল তাতে। কিছুক্ষণ আগে ম্যাচটা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

৬টা ৪০ মিনিটে বৃষ্টি যখন শুরু হয়, বৃষ্টিটার তোড় বেশি ছিল না। ভাবা হচ্ছিল, কিছুক্ষণ পরই আবার হয়তো খেলা শুরু করা যাবে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমেও যায়। কাভার সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু খেলোয়াড়েরা যখন নামতে যাবেন, আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

এরপর চলতে থাকা ক্রিকেট আর বৃষ্টির এই লুকোচুরি খেলা। বৃষ্টি থামে, খেলা শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়, আবার নামে বৃষ্টি! তবে এই লুকোচুরি লুকোচুরি খেলা নিয়ে হাসি-তামাশা কমে গেল, যখন রাত আটটার পর থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। আরও আশঙ্কা জাগায় যখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও শুরু হয়।

তখনই ধারণা হয়ে গিয়েছিল, হয়তো আর খেলা শুরু করা যাবে না। বজ্রপাত আর বৃষ্টির এই তোড় দেখেই এরপর আম্পায়াররা আর বেশিক্ষণ দেরি করেননি। প্রথমে জানা গিয়েছিল, রাত ৯টা ৬ মিনিট হচ্ছে কাট অফ টাইম, এর মধ্যে খেলা শুরুর অবস্থায় না এলে ম্যাচ বাতিল করা হবে। বৃষ্টির তোড় দেখে আর অত সময়ও অপেক্ষা করেননি আম্পায়াররা, রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকেই আসে ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আজ বৃষ্টি বারবার ঝামেলা পাকিয়েছে। টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নেয়ার পর খেলা শুরু হয় বটে, কিন্তু মাত্র ২৭ বল হতে না হতেই বৃষ্টি থামিয়ে দেয় ম্যাচ। আধ ঘন্টা ধরে বৃষ্টি হয়েছে টানা। এরপরও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে কিছুক্ষণ। এরপর মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু করতে করতে প্রায় দুই ঘণ্টা চলে যায়। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ কমে – ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়ে যায় ৪২ ওভারের।

এরপর ভালোভাবেই খেলা চলছিল। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই মোস্তাফিজের তোপে নিউজিল্যান্ড দুই ব্যাটসম্যানকে হারায়, স্কোরবোর্ডে তখনো রান মাত্র ১৬। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ওপেনার উইল ইয়াং (৫৮) ও চারে নামা হেনরি নিকোলস ৯৭ রানের জুটিতে ‘রেকর্ড’ গড়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডকে পথে ফেরান। রেকর্ড বলতে, মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটিই! অবশ্য তানজিম সাকিবের করা ১৬তম ওভারে বাংলাদেশ ঠিকমতো রিভিউটা নিলে ব্যক্তিগত ১৮ রানেই এলবিডাব্লিউ হয়ে যেতেন ইয়াং, নিউজিল্যান্ড সে সময়ে হয়ে যেত ৪৯/৩।

তা হয়নি। বাংলাদেশের তখন আর জুটিটা ভাঙাই হচ্ছিল না! মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যরা বোলিং করেছেন, মিরাজ আর তানজিম সাকিব মিলেও ফেরাতে পারছিলেন না। এরপর সেই মোস্তাফিজই এসে ভাঙেন সে জুটি। ২৮তম ওভারে ফেরান নিকোলসকে (৪৪)।

মোস্তাফিজের পর দাপট শুরু হয় নাসুম আহমেদের। ৩১তম ওভারে চার বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন ইয়াং (৫৮) ও রাচিন রবীন্দ্রকে (০)। মাত্র ১১ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৫/১২৩।

কিন্তু এরপরই বৃষ্টির দাপট। সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ছিল ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬। শেষ পর্যন্ত সেখানেই ম্যাচটা থেমে গেল।