Dhaka ০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় বেনাপোলে ইলিশের ১২ ট্রাক

শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ভারতে রপ্তানির প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে ৪৫ টন রুপালি ইলিশ ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির অনুমতি না পাওয়ায় চালান ছাড়া হয়নি। তবে আজই চালান ছাড়া হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গো সুপার কলিম উল্লাহ ও বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এম ই ইন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আলমঙ্গীর হোসেন জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বুধবার একটি চিঠির মাধ্যমে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

চেকপোস্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, বেনাপোলে রপ্তানি সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্রের কাযর্ক্রম শেষে আজ বৃহস্পতিবার মাছ ভারতে রপ্তানি করা হবে। পর্যায়ক্রমে যাবে ইলিশের চালান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন জানান, রপ্তানির শর্তে রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ বিধি-বিধান অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যে পরিমাণের কথা বলা হয়েছে কোনো প্রতিষ্ঠান তার বেশি রপ্তানি করতে পারবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছে তারাই শুধু ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।

উল্লেখ্য, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে আবেদন করে। এতে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানায় ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই করে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।

ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় বেনাপোলে ইলিশের ১২ ট্রাক

আপডেট : ০৭:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ভারতে রপ্তানির প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে ৪৫ টন রুপালি ইলিশ ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজির অনুমতি না পাওয়ায় চালান ছাড়া হয়নি। তবে আজই চালান ছাড়া হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গো সুপার কলিম উল্লাহ ও বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এম ই ইন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আলমঙ্গীর হোসেন জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বুধবার একটি চিঠির মাধ্যমে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

চেকপোস্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, বেনাপোলে রপ্তানি সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্রের কাযর্ক্রম শেষে আজ বৃহস্পতিবার মাছ ভারতে রপ্তানি করা হবে। পর্যায়ক্রমে যাবে ইলিশের চালান।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার শাফায়াত হোসেন জানান, রপ্তানির শর্তে রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ বিধি-বিধান অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যে পরিমাণের কথা বলা হয়েছে কোনো প্রতিষ্ঠান তার বেশি রপ্তানি করতে পারবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছে তারাই শুধু ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।

উল্লেখ্য, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে আবেদন করে। এতে পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানায় ব্যবসায়ীরা। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই করে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।