Dhaka ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদানের শরণার্থী শিবিরে ৬ মাসে ১২০০ শিশুর প্রাণহানি

গেলো ৬ মাসে ১২’শ শিশুর মৃত্যু। চলতি বছর শেষ নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঝুঁকিতে নবজাতকসহ আরো সাড়ে তিনলাখ শিশু। এমন আশংকা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআরের। এই পরিস্থিতি সুদানের শরণার্থী শিবিরগুলোর।

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারনে তীব্র খাদ্য সংকটে অপুষ্টি আর হাম, ডায়েরিয়া, কলেরা ও ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগে ভুগছে শিশুসহ দেশটির নাগরিকরা। গেলো মে থেকে হোয়াইট নাইল প্রদেশের ৯টি শরণার্থী শিবিরে পাঁচ বছরের নীচে ১২০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, অর্থ আর পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।আমরা এখানে ডায়রিয়া, অপুষ্টি ও ম্যালেরিয়ার রুগী বেশি পাচ্ছি।

ক্ষমতার দখল নিয়ে সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী আধা সামরিক বাহিনীর সংঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে দেশটির প্রায় ৮০ ভাগ হাসপাতাল। চিকিৎসক, নার্সসহ ওষুধ সংকটের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে পুরো স্বাস্থ্যসেবা। এমন অবস্থায়, ইউএনএইচসিআরের অস্থায়ী ক্যাম্পে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। তাও সংখ্যায় মাত্র একটি।

ইউএনএইচসিআরের আরেক কর্মকর্তা জানান, খাবারের সাথে সাথে পানির অভাবে দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। পানি না থাকায় ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেইসাথে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে রোগ বালাই। এই শিবিরের মানুষের সংখ্যা ৭০ হাজার। এখানে সাতটি চিকিৎসা শিবির দরকার। সেখানে অর্থের অভাবে আছে মাত্র একটি।

মৃত্যু ঠেকাতে সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সুদানের শরণার্থী শিবিরে ৬ মাসে ১২০০ শিশুর প্রাণহানি

আপডেট : ০৭:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গেলো ৬ মাসে ১২’শ শিশুর মৃত্যু। চলতি বছর শেষ নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঝুঁকিতে নবজাতকসহ আরো সাড়ে তিনলাখ শিশু। এমন আশংকা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআরের। এই পরিস্থিতি সুদানের শরণার্থী শিবিরগুলোর।

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারনে তীব্র খাদ্য সংকটে অপুষ্টি আর হাম, ডায়েরিয়া, কলেরা ও ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগে ভুগছে শিশুসহ দেশটির নাগরিকরা। গেলো মে থেকে হোয়াইট নাইল প্রদেশের ৯টি শরণার্থী শিবিরে পাঁচ বছরের নীচে ১২০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, অর্থ আর পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।আমরা এখানে ডায়রিয়া, অপুষ্টি ও ম্যালেরিয়ার রুগী বেশি পাচ্ছি।

ক্ষমতার দখল নিয়ে সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী আধা সামরিক বাহিনীর সংঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে দেশটির প্রায় ৮০ ভাগ হাসপাতাল। চিকিৎসক, নার্সসহ ওষুধ সংকটের কারণে ভেঙ্গে পড়েছে পুরো স্বাস্থ্যসেবা। এমন অবস্থায়, ইউএনএইচসিআরের অস্থায়ী ক্যাম্পে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। তাও সংখ্যায় মাত্র একটি।

ইউএনএইচসিআরের আরেক কর্মকর্তা জানান, খাবারের সাথে সাথে পানির অভাবে দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। পানি না থাকায় ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেইসাথে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে রোগ বালাই। এই শিবিরের মানুষের সংখ্যা ৭০ হাজার। এখানে সাতটি চিকিৎসা শিবির দরকার। সেখানে অর্থের অভাবে আছে মাত্র একটি।

মৃত্যু ঠেকাতে সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।