সরকার পদত্যাগ না করলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধীদলের ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন ফখরুল। তিনি দাবি করেন, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার। আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জামিন বাতিল করা হচ্ছে। উচ্চ আদালতের রায় নিম্ন আদালত মানছে না।

আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেলো আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

বিএনপি এখনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে। সরকারের আচরণ দেখে বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যে ‘জমিদারি ও সন্ত্রাসী ভাব রয়েছে। এটাই হচ্ছে তাদের কথা বলার চরিত্র ও মানসিকতা। তাদের সব কিছুর মধ্যে একটা সন্ত্রাসী ব্যাপার থাকে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘হামলা-মামলা করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ভালো না। অথচ, সরকার তাকে বিদেশে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করছে না।’

এ সময় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন কর্মসূচি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আগামীতে সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করে বিএনপির কর্মসূচি ঠিক করা হবে।’