ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের অভিযানে নিহত বেড়ে ২০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৯২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজারবাইজানের বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে দেশটির সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। এছাড়া অভিযানে আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জনের বেশি মানুষ।

নিহতদের মধ্যে বোসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ত‡ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগোরনো-কারাবাখের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ান মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা বলেছেন, আজারবাইজানীয় সামরিক আক্রমণের ফলে সেখানে কমপক্ষে ২০০ জন নিহতসহ কয়েকশ মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান চালানোর সময় তাদের কিছু সৈন্য নিহত এবং অন্য আরও কিছু সেনা আহত হয়েছেন।

তবে সামরিক অভিযানের সময় আজারি সেনাদের হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি আজারবাইজান।

এদিকে এ হামলার পর সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো গেছে। আজারবাইজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা হবেও বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৪ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত পাহাড়ি এলাকা নাগারনো-কারাবাখ। এখানে খ্রিষ্টান আর্মেনীয় ও মুসলিম তুর্কিরা বসবাস করে। সোভিয়েত আমলে এটি আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ছিল। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকা আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে এখানকার বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী আর্মেনীয় আদিবাসী।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়। নিহত হয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ১৯৯০–এর দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী আজারবাইজানের কিছু এলাকা দখল করে। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে এরপর অনেকটাই অচলাবস্থা রয়েছে এ অঞ্চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের অভিযানে নিহত বেড়ে ২০০

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজারবাইজানের বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে দেশটির সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। এছাড়া অভিযানে আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জনের বেশি মানুষ।

নিহতদের মধ্যে বোসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ত‡ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগোরনো-কারাবাখের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ান মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা বলেছেন, আজারবাইজানীয় সামরিক আক্রমণের ফলে সেখানে কমপক্ষে ২০০ জন নিহতসহ কয়েকশ মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান চালানোর সময় তাদের কিছু সৈন্য নিহত এবং অন্য আরও কিছু সেনা আহত হয়েছেন।

তবে সামরিক অভিযানের সময় আজারি সেনাদের হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি আজারবাইজান।

এদিকে এ হামলার পর সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো গেছে। আজারবাইজান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা হবেও বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

৪ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত পাহাড়ি এলাকা নাগারনো-কারাবাখ। এখানে খ্রিষ্টান আর্মেনীয় ও মুসলিম তুর্কিরা বসবাস করে। সোভিয়েত আমলে এটি আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ছিল। আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকা আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে এখানকার বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী আর্মেনীয় আদিবাসী।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলা সংঘর্ষে ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়। নিহত হয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। ১৯৯০–এর দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী আজারবাইজানের কিছু এলাকা দখল করে। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে এরপর অনেকটাই অচলাবস্থা রয়েছে এ অঞ্চলে।