সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দুর্গতিনাশিনী দেবীকে বিদায় জানালেন ভক্তরা ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ৪ জনের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ ছাড় পাবে না: উপদেষ্টা নাহিদ সব শান্তিরক্ষীকে লেবানন থেকে সরিয়ে নিতে বললেন নেতানিয়াহু যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও লেবাননে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা দলে দলে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে ইসরায়েলিরা প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ দেশের ৩০% মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছেন রোনালদোর গোল, পর্তুগালের টানা তৃতীয় জয় ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজের নিবন্ধন করার নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শুধু ছাত্রদের আন্দোলনে আলাদা ক্রেডিট দেয়ার সুযোগ নেই : গয়েশ্বর আওয়ামী লীগের বিচার হবে তাঁদের করা আইনেই: জামায়াতের আমির অশ্রুসিক্ত নয়নে দুর্গাকে বিদায় পশ্চিবঙ্গের মানুষের সৌদি আরবের মক্কায় আকস্মিক বন্যা পাকিস্তানে দুই গোত্রের সহিংসতায় নিহত ১১ লেবাননের গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকাল হিজবুল্লাহ সাহারা মরুভূমিতে বিরল বন্যা !! সৌদি আরব ও আমিরাতের কাছে আমেরিকার আরও অস্ত্র বিক্রি অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বেড়েছে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দল ঘোষণা

মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক / ৯০ জন দেখেছেন
আপডেট : সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছে বাংলাদেশ
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) নিশ্চিত করতে পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজিএ উচ্চ-স্তরের বৈঠকে ভাষণদান কালে এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরকে সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ নিশ্চিত করতে পাঁচটি ক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।’

ক্ষেত্রগুলো হলো: প্রথমত, শিশু, মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বজায় রাখা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্য চক্র মোকাবেলা করা।

দ্বিতীয়ত, সকলের জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্তঃ-চালিত, ডেটা-নির্ভর স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা বিনিময় করা।

তৃতীয়ত, আমাদের উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বীমা স্কিম বিকাশে সহায়তা করা,

চতুর্থত, দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্ট আপসহ স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো; এবং

পঞ্চমত, জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ‘ট্রিপ’ (ট্রাফিক রেসপন্স এন্ড ইনফর্মেশন পার্টনারশিপ) বাধ্যবাধকতা মেনে চলা। ‘আমাদের প্রজন্ম ইউএইচসি সমুন্বত করে ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে। আসুন আমরা সকলে হাতে হাত মিলিয়ে তা সম্ভব করে তুলি,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অথচ অর্জনযোগ্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যেসেবার সুযোগ নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিয়েছে, কারণ, বাংলাদেশ প্রতি ১ লাখ জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩-এ নামিয়ে এনেছে। এগুলো ছাড়াও প্রতি হাজার জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যু হার ২৮-এ নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘শিশু টিকাদানের ওপর আমাদের গুরুত্ব সার্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’

তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারী ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। ‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি। আমরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছি,’ বলেন তিনি ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি আরও বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি এবং পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা সংস্কৃতিগত ভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করি। আমরা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির জন্য একটি ‘এক স্বাস্থ্য পদ্ধতি’ প্রচার করছি। আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’

তিনি বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কেউ পকেটের পয়সায় স্বাস্থ্যসেবার জন্য কষ্ট পাবে না।

‘আমাদের জনস্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো শূন্য বা সর্বনি¤œ খরচে পরিষেবা প্রদান করে, যা আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৮০% কভার করে,’ তিনি যোগ করেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত কর্মী দিয়ে তাদের সেবার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের মনোযোগ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো খরচ মিটনো জন্য একটি কার্যকর অর্থায়ন মডেল তৈরি করা। বাংলাদেশে, আমরা আমাদের ওষুধের চাহিদার ৯৮% দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করি।’

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। খবর: বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্য সংবাদ