আধুনিকতার যুগেও বাগেরহাটের চিতলমারীতে শিশুদের শিক্ষায় হাতেখড়ি দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তালপাতা, বাঁশের কঞ্চির কলম আর দোয়াত কালি। পুরোনো ঐতিহ্য অনুসরণ করে প্রায় দেড় যুগ ধরে শিশুদের এভাবে পাঠদান করে আসছেন স্থানীয় শিক্ষক পণ্ডিত কালিপদ বাছাড়। তবে পাঠশালাটিতে বিদ্যুৎ নেই, আছে সুপেয় পানির সংকট। এছাড়া পাঠশালার সামনের জমিতে পানি জমে থাকায় শিশুদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যদিও এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম ডুমুরিয়া। এ গ্রামে প্রায় ১৮ বছর ধরে শিক্ষা নিকেতন নামে একটি পাঠশালা চালিয়ে আসছেন পণ্ডিত কালিপদ বাছাড়। এখান থেকে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। পাঠশালাতে গেলে শিশুদের হাতে দেখা মিলবে বাঁশের কঞ্চির কলম, দোয়াত, কালি আর তালপাতা। শিশুরা এসব পুরাতন শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে শুরু করছে তাদের শিক্ষা জীবন।
প্রতিদিনই এখানে প্রায় ৫০ জন শিশু শিক্ষা নিতে আসে। কিন্তু স্থানীয়দের উদ্যোগে গড়ে তোলা এই পাঠশালাটিতে রয়েছে নানা সংকট। বিদ্যুৎ না থাকায় অভিভাবকরা হাত পাখা দিয়েই শিশুদের বাতাস করেন। এখানে নেই কোন নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা। এছাড়া পাঠশালার সামনের জায়গায় পানি জমে থাকার কারণে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিশুদের।
তবে, পাঠশালাটিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক।
স্থানীয়দের সহায়তায় চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে শিশু শিক্ষা নিকেতন নামের এই পাঠশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে।