ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পুলিশের তল্লাশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিলিটারি মেইলের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ‘মারিজুয়ানা’ পাচার ও ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ সেনাসদস্য ও অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ। এজন্য সেখানে মার্কিন একটি সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। মে মাসে এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে দুটি সামরিক ঘাঁটিতে। এর মধ্যে অন্যতম ক্যাম্প হামফ্রেস। এটি বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি।

এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ফিলিপিনো এবং এক দক্ষিণ কোরিয়ানকে। প্রসিকিউটররা সন্দেহজনক ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা পর্যালোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের একটি এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া চার মাস ধরে সেখানে অনুসন্ধান চালায়।

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন সেনাদের এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। এর ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে ওই ২২ সন্দেহভাজনের ঘর থেকে উদ্ধার করে ৭৭ গ্রাম গাঁজা, কমপক্ষে ৪ কেজি ‘মিশ্র তরল’ এবং নগদ ১২ হাজার ৮৫০ ডলার। তাদের বিরুদ্ধে মারিজুয়ানা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

পাঁচজন সেনাসদস্যসহ সাতজন মাদক বিক্রিতে জড়িত বলে মনে করা হয়। আর ১২ জন এই মাদক ব্যবহার করতেন। মধ্যবর্তী ব্যক্তি হিসাবে কাজ করতেন তিনজন। জানা গেছে, এক সেনাসদস্যের স্ত্রী এবং অন্য এক সেনাসদস্যের প্রেমিকাও এর সঙ্গে জড়িত। ওই ১৭ সেনাসদস্য এখন ক্যাম্প হামফ্রেসে অবস্থান করছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করে তারা এই মাদক বিতরণ করতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পুলিশের তল্লাশি

আপডেট সময় : ০৮:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিলিটারি মেইলের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ‘মারিজুয়ানা’ পাচার ও ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ সেনাসদস্য ও অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ। এজন্য সেখানে মার্কিন একটি সামরিক ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। মে মাসে এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে দুটি সামরিক ঘাঁটিতে। এর মধ্যে অন্যতম ক্যাম্প হামফ্রেস। এটি বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি।

এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ফিলিপিনো এবং এক দক্ষিণ কোরিয়ানকে। প্রসিকিউটররা সন্দেহজনক ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা পর্যালোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের একটি এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া চার মাস ধরে সেখানে অনুসন্ধান চালায়।

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন সেনাদের এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার এটাই সবচেয়ে বড় অভিযোগ। এর ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে ওই ২২ সন্দেহভাজনের ঘর থেকে উদ্ধার করে ৭৭ গ্রাম গাঁজা, কমপক্ষে ৪ কেজি ‘মিশ্র তরল’ এবং নগদ ১২ হাজার ৮৫০ ডলার। তাদের বিরুদ্ধে মারিজুয়ানা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

পাঁচজন সেনাসদস্যসহ সাতজন মাদক বিক্রিতে জড়িত বলে মনে করা হয়। আর ১২ জন এই মাদক ব্যবহার করতেন। মধ্যবর্তী ব্যক্তি হিসাবে কাজ করতেন তিনজন। জানা গেছে, এক সেনাসদস্যের স্ত্রী এবং অন্য এক সেনাসদস্যের প্রেমিকাও এর সঙ্গে জড়িত। ওই ১৭ সেনাসদস্য এখন ক্যাম্প হামফ্রেসে অবস্থান করছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করে তারা এই মাদক বিতরণ করতেন।