![](https://71newsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গত ২৩ আগস্ট ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। মহাকাশে ভারতের মাইলফলক স্পর্শের এক মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত অনেক কর্মীদের গত ১৮ মাসের বেতন এখনো বাকি। এ নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভও করেছেন তাঁরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডট ইন বলছে, সরকার মালিকানাধীন হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেডের কর্মীরা চন্দ্রযান-৩ নামক মহাকাশযানের বিভিন্ন সরঞ্জাম বানানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া তাঁদের বানানো সরঞ্জাম দিয়ে আরও স্যাটেলাইট বানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
এসব কর্মীরা এবার জানিয়েছেন, তাঁরা গত দেড় বছর ধরে বেতন পান না। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ৭৬ বছর বয়সী ভবন সিং বলেন, ‘এই বেতন দেওয়ার দাবিতে আমরা অনেক দিন ধরেই রাঁচিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছি।’
১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড রাঁচিতে অবস্থিত। এটি ভারতের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। প্রতিরক্ষা, রেলপথ, খনি এবং মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে সরঞ্জাম সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে জড়ো হন হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেডের কর্মীরা। এতে দেখা যায়, ভারতের একটি স্যাটেলাইটের বড় কার্ডবোর্ড আনা হয়েছে প্রতীকী হিসেবে। এ সময় একজন বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলতে, কর্মীরা জেগে উঠেছে। আমাদের বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য দুধ নেই। আমরা তাদের স্কুলের ফি দিতে পারছি না। আমরা বিচার চাই।’
হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে সরকারি নানা জটিলতার কারণে কর্মীদের বেতন আটকে আছে বলে জানা যায়। ২০১৭ সালের পর এই প্রতিষ্ঠানের কোনো এমডিও নেই। এ কারণে এবার ১ হাজার ৬২৩ জন কর্মীদের পক্ষে নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ভারতের পার্লামেন্টে এ নিয়ে আলোচনা হলেও সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত বুধবার রাজ্যসভায় ইস্যুটি তোলেন ঝাড়খণ্ডের এমপি মহুয়া মাজি। কিন্তু এটি মিথ্যা বলে দাবি করেন বিজেপির এমপি পীযুষ গোয়াল।