প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে একটি করে ১৬টি পণ্যবাহী কোচ বা ‘লাগেজ ভ্যান’ সংযোজন করা হয়েছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ রোববার এ সেবার উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
দেশের প্রান্তিক কৃষকরা শুধু সঠিক সময়ে তাদের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য রাজধানীসহ সারা দেশে না পাঠাতে পাড়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই লাগেজ ভ্যান চালুর ফলে সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা ও দ্রুত রাজধানীসহ সারা দেশে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন সহজ হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলের সুবিধা আমরা বাড়াতে চাই। আপাতত ১৬টি ট্রেনে একটি করে লাগেজ ভ্যান দিচ্ছি। চাহিদার ওপর নির্ভর করে লাগেজ ভ্যান আরও বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই ব্যবস্থায় যেমন প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন, তেমনি আয় বাড়বে লোকসান হওয়া রেলেরও। এই প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি।
রেলওয়ে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১২৫টি লাগেজ ভ্যান (বগি) যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে ৭৫টি মিটারগেজ লাইনের ট্রেনে ও ৫০টি ব্রডগেজ লাইনের ট্রেনে। ব্রডগেজে ১০টা রেফ্রিজারেটর (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ) এবং মিটারগেজে ১৬টা রেফ্রিজারেটর থাকবে।
চীন থেকে ৭৫টি এমজি লাগেজ ভ্যান আমদানি করা হচ্ছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে (যাত্রীবাহী ট্রেনে) একটি করে লাগেজ ভ্যান যুক্ত হবে। এর মধ্যে চীন থেকে প্রথম চালানের ২০টি লাগেজ ভ্যান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পাহাড়াতলী কারখানায় এসেছে। পর্যায়ক্রমে অন্য লাগেজ ভ্যানগুলোও দেশে আসবে।
রেলের আয়ের অন্যতম খাত পণ্য পরিবহন। আর এটি করা হয় লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে। বর্তমানে রেলওয়েতে ৪১টি মিটারগেজ ও ১০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান রয়েছে।