স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে। তবে, বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। তাছাড়া তাঁর বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও করার কিছু নেই। এটা সম্পূর্ণই আদালতের বিষয়।
গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা নিয়ে জটিল অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এরপর তিনি কারাবন্দি হন।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।