শেখ হাসিনা কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেন না: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১০:১৩:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পরও কোনো কোনো শক্তি চোখ রাঙায়। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেন না। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে দেশকে এগিয়ে নেবেন তিনি।’
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবেই। বিদেশি পর্যবেক্ষক আসলে স্বাগত জানাব। না আসলেও স্বাগত জানাব। আমাদের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আমরাই নেব। অন্য কেউ নয়।’
কারও কাছ থেকে গণতন্ত্র শিখতে হবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ভিসা নীতি নিয়ে কারও এত আপ্লুত হওয়ার কারণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে।’
আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিএনপি নানা ধরনের কথা বলে। ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর এক ধরনের কথা বলে, আবার পত্রিকায় খবর আসার পর আরেক ধরনের কথা বলে। এগুলো বলে কোনো লাভ নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সেটি প্রমাণ করে। তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা এবং বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ় হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা নীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু পরাশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, সেই ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আমাদের পূর্বসূরী বীর মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। আজকেও অনেকে চোখ রাঙায়, অনেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়।
প্রীতিলতা ও সূর্যসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রীতিলতা যেভাবে আত্মাহুতি দিয়েছিল, এটি সব ভারতীয় মুক্তিকামী মানুষদের অনুপ্রাণিত করেছিল, উদ্বুদ্ধ করেছিল। প্রীতিলতা-সূর্যসেন যেভাবে দেশ মাতৃকার জন্য জীবন দিয়েছেন, সেটি ভারতীয় মুক্তির সংগ্রাম এবং আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বারে বারে যুগে যুগে প্রেরণা জুগিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও যোগাবে। আজকে তাই প্রীতিলতা ও সূর্যসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।