সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে নয়জন ঢাকার এবং বাকি ১০ জন ঢাকার বাইরের। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৮ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গু বিষয়ক এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩৩ জন নতুন রোগী। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৮ জনে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার হার ৯৪ শতাংশ। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন দশ হাজার ১৪৭ জন। ভর্তির হার ছয় শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যান গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২১ জন মারা গেছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এর আগেও গত ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গু রোগীদের চাপে হিমশিম অবস্থা কিছুটা কেটেছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। নগরবাসীর অভিযোগ, মশক নিধনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই সিটি করপোরেশনের।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।