০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বৈষম্য, সহিংসতা ও দুর্নীতি বড় সমস্যা চিহ্নিত

গত এক যুগে দেশে ধনী-গরীব বৈষম্য বেড়েছে ৮০ গুণ। দেশের উন্নয়ন হলেও এর সুফল পৌঁছায়নি সবার কাছে। যা আগামীতে টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। রাজধানীর কেআইবি অডিটরিয়ামে সোমবার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের এক সংলাপে উঠে আসে এসব তথ্য।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য, সহিংসতা ও দুর্নীতিকে বড় সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে গুরুত্ব দেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক এক শতাংশ। আকার বেড়ে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৮৭ মার্কিন ডলার। গত ৬ বছরে দারিদ্রের হার কমে বর্তমানে হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অতি দারিদ্রের হারও কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম মনে করে, দেশের উন্নয়ন হলেও এর সুফল সবাই পায়নি। আয় বৈষম্য বেড়েছে। ২০১০ সালে সবচেয়ে ধনী ও দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের আয়ের পার্থক্য ছিল ৩০ গুণ। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮০ গুণ। যাদের কাছে বেশি সম্পদ তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও অনেক বেশি, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি।

এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত ৫০ বছরে দেশে উন্নয়নের আদর্শ স্থাপন হলেও আয় ও ব্যয়ে বৈষম্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অদক্ষতা, দুর্নীতি, জবাবদিহিতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছায়নি। ধনী-দরিদ্রের এমন বৈষম্য চলতে থাকলে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা বাড়বে। এই অন্যায্যতা আগামীতে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করবে, যা উদ্বেগের বিষয়।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘জিডিপি, জাতীয় আয়, রপ্তানি রেমিট্যান্স, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব সূচকে উন্নতি হলেও সবাই এর সমান ভাগিদার হতে পারেন নি। খাতভিত্তিক, জনসংখ্যাভিত্তিক ও এলাকাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে অনেকেই এই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

এ সময় রেহমান সোবহান বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়নেও অঞ্চল ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। ১৫ বছর ধরে দুর্নীতিসহ নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও সমাধান হচ্ছে না।’

দেশের বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে স্বাস্থ্যসহ সামাজিক নিরপাত্তা খাতে তুলনামূলক বরাদ্দ অনেক কম। যা দেশের জন্য দুঃখজনক বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যন অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ মেম্বার, এনজিও ও ব্যক্তিখাতের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

দেশে বৈষম্য, সহিংসতা ও দুর্নীতি বড় সমস্যা চিহ্নিত

আপডেট : ০২:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গত এক যুগে দেশে ধনী-গরীব বৈষম্য বেড়েছে ৮০ গুণ। দেশের উন্নয়ন হলেও এর সুফল পৌঁছায়নি সবার কাছে। যা আগামীতে টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। রাজধানীর কেআইবি অডিটরিয়ামে সোমবার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের এক সংলাপে উঠে আসে এসব তথ্য।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য, সহিংসতা ও দুর্নীতিকে বড় সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে গুরুত্ব দেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক এক শতাংশ। আকার বেড়ে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৮৭ মার্কিন ডলার। গত ৬ বছরে দারিদ্রের হার কমে বর্তমানে হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অতি দারিদ্রের হারও কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম মনে করে, দেশের উন্নয়ন হলেও এর সুফল সবাই পায়নি। আয় বৈষম্য বেড়েছে। ২০১০ সালে সবচেয়ে ধনী ও দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের আয়ের পার্থক্য ছিল ৩০ গুণ। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮০ গুণ। যাদের কাছে বেশি সম্পদ তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও অনেক বেশি, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি।

এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত ৫০ বছরে দেশে উন্নয়নের আদর্শ স্থাপন হলেও আয় ও ব্যয়ে বৈষম্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অদক্ষতা, দুর্নীতি, জবাবদিহিতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছায়নি। ধনী-দরিদ্রের এমন বৈষম্য চলতে থাকলে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা বাড়বে। এই অন্যায্যতা আগামীতে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করবে, যা উদ্বেগের বিষয়।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘জিডিপি, জাতীয় আয়, রপ্তানি রেমিট্যান্স, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব সূচকে উন্নতি হলেও সবাই এর সমান ভাগিদার হতে পারেন নি। খাতভিত্তিক, জনসংখ্যাভিত্তিক ও এলাকাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে অনেকেই এই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

এ সময় রেহমান সোবহান বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়নেও অঞ্চল ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। ১৫ বছর ধরে দুর্নীতিসহ নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও সমাধান হচ্ছে না।’

দেশের বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে স্বাস্থ্যসহ সামাজিক নিরপাত্তা খাতে তুলনামূলক বরাদ্দ অনেক কম। যা দেশের জন্য দুঃখজনক বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যন অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ মেম্বার, এনজিও ও ব্যক্তিখাতের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।