১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যের সিনেটর ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত

ঘুষ গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন আমেরিকার সিনেটর বব মেনেনডেজ ও তাঁর স্ত্রী নাদিন। ম্যানহাটনে অবস্থিত দেশটির অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে শুক্রবার বলা হয়, মেনেনডেজ মিসর সরকারকে স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে মার্কিন প্রশাসনকে এই মেনেনডেজই আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, আমেরিকার ম্যানহাটনে অবস্থিত দেশটির অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়, নিউজার্সির তিনজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে শত শত কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন সিনেটর বব মেনেনডেজ ও তাঁর স্ত্রী নাদিন।

সরাসরি ডলার নেওয়ার পাশাপাশি সোনা, বাড়ির লোন, চাকরি সুবিধা, দামি গাড়ি ও আরও অনেক জিনিস পেয়েছেন মেনেনডেজ দম্পতি। এই সিনেটরের বাসভবন থেকে বিপুল সংখ্যক সোনার বার এবং শত শত কোটি ডলার নগদ উদ্ধার করেছে ফেডারেল প্রসিকিউটরেরা। এসব সোনার দাম ২ লাখ ডলার।

মেনেনডেজ এবং তাঁর স্ত্রীর নামে তিনটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এগুলো হলো ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্র, পরিষেবা জালিয়াতির ষড়যন্ত্র এবং সরকারী অধিকারের নাম নিয়ে চাঁদাবাজি করার ষড়যন্ত্র। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মেনেনডেজ। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা’।

মেনেনডেজ মার্কিন সিনেটের ফরেইন রিলেশন কমিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্য। বাংলাদেশের র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তিন বছর আগে তিনি বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই মেনেনডেজ বাংলাদেশে পরিচিত।

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে ২০২০ সালে র‌্যাবের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মেনেনডেজ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যের সিনেটর ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত

আপডেট : ০২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঘুষ গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন আমেরিকার সিনেটর বব মেনেনডেজ ও তাঁর স্ত্রী নাদিন। ম্যানহাটনে অবস্থিত দেশটির অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে শুক্রবার বলা হয়, মেনেনডেজ মিসর সরকারকে স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে মার্কিন প্রশাসনকে এই মেনেনডেজই আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, আমেরিকার ম্যানহাটনে অবস্থিত দেশটির অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়, নিউজার্সির তিনজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে শত শত কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন সিনেটর বব মেনেনডেজ ও তাঁর স্ত্রী নাদিন।

সরাসরি ডলার নেওয়ার পাশাপাশি সোনা, বাড়ির লোন, চাকরি সুবিধা, দামি গাড়ি ও আরও অনেক জিনিস পেয়েছেন মেনেনডেজ দম্পতি। এই সিনেটরের বাসভবন থেকে বিপুল সংখ্যক সোনার বার এবং শত শত কোটি ডলার নগদ উদ্ধার করেছে ফেডারেল প্রসিকিউটরেরা। এসব সোনার দাম ২ লাখ ডলার।

মেনেনডেজ এবং তাঁর স্ত্রীর নামে তিনটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এগুলো হলো ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্র, পরিষেবা জালিয়াতির ষড়যন্ত্র এবং সরকারী অধিকারের নাম নিয়ে চাঁদাবাজি করার ষড়যন্ত্র। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মেনেনডেজ। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা’।

মেনেনডেজ মার্কিন সিনেটের ফরেইন রিলেশন কমিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় সদস্য। বাংলাদেশের র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তিন বছর আগে তিনি বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই মেনেনডেজ বাংলাদেশে পরিচিত।

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে ২০২০ সালে র‌্যাবের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মেনেনডেজ।