ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংঘাতের জেরে আজারবাইজানের বিরোধপূর্ণ এলাকা নাগোরনো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে আরও হাজার হাজার শরণার্থী। এরই মধ্যে কারবাখে একটি জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে স্বঘোষিত সরকারি কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।

নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত একটি ভূখণ্ড, তবে এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। আজারবাইজানের অভিযোগ, নাগোরনো-কারাবাখসহ আশপাশের বিশাল আজারবাইজানি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছিল আর্মেনিয়া। গত সপ্তাহে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে বিশেষ অভিযান চালায় আজারবাইজান। সম্ভবত জাতিগত নির্মূলের জন্যই এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে আর্মেনিয়া সরকার।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার থেকে শরণার্থীদের প্রথম দলটি দেশটিতে পৌঁছায়। ইতোমধ্যে ১৩ হাজার শরণার্থী আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। সীমান্তবর্তী শহর গোরিসেই রয়েছেন শরণার্থীরা। শহরটিতে আগে থেকেই অনেক শরণার্থী রয়েছে।

এদিকে, গোরিস শহরে আসা অনেক শরণার্থী তাদের গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। ভোর হতে না হতেই সিম কার্ড কেনার জন্য দোকানগুলোতে ভিড় করছে তারা।

স্বঘোষিত স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানী স্টেপানাকার্টের কাছে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে ১৩টি মরদেহ পাওয়া যায়। পরে, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাতজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এক বিবৃতিতে তারা বলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ২৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহতদের চিকিৎসায় হেলিকপ্টার যোগে স্টেপানাকার্টে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বাকু থেকেও চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজান।

নিউজটি শেয়ার করুন

কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ২০

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সংঘাতের জেরে আজারবাইজানের বিরোধপূর্ণ এলাকা নাগোরনো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে আরও হাজার হাজার শরণার্থী। এরই মধ্যে কারবাখে একটি জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে স্বঘোষিত সরকারি কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।

নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত একটি ভূখণ্ড, তবে এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। আজারবাইজানের অভিযোগ, নাগোরনো-কারাবাখসহ আশপাশের বিশাল আজারবাইজানি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছিল আর্মেনিয়া। গত সপ্তাহে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে বিশেষ অভিযান চালায় আজারবাইজান। সম্ভবত জাতিগত নির্মূলের জন্যই এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে আর্মেনিয়া সরকার।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার থেকে শরণার্থীদের প্রথম দলটি দেশটিতে পৌঁছায়। ইতোমধ্যে ১৩ হাজার শরণার্থী আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। সীমান্তবর্তী শহর গোরিসেই রয়েছেন শরণার্থীরা। শহরটিতে আগে থেকেই অনেক শরণার্থী রয়েছে।

এদিকে, গোরিস শহরে আসা অনেক শরণার্থী তাদের গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। ভোর হতে না হতেই সিম কার্ড কেনার জন্য দোকানগুলোতে ভিড় করছে তারা।

স্বঘোষিত স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানী স্টেপানাকার্টের কাছে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে ১৩টি মরদেহ পাওয়া যায়। পরে, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাতজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এক বিবৃতিতে তারা বলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ২৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহতদের চিকিৎসায় হেলিকপ্টার যোগে স্টেপানাকার্টে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বাকু থেকেও চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজান।