১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুয়াতেমালায় ভূমিধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ১২

গুয়াতেমালায় ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরো ১২ জন।

গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজেস্টার রিডাকশন এজেন্সি (কনরেড) জানিয়েছে, সোমবার শুরুর দিকে নারাঞ্জো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি সেতুর নিচে থাকা অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেসে গেছে।

অনুসন্ধান কুকুর এবং উদ্ধারকারী দলগুলো বন্যার পানিতে মারা যাওয়া ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে যার বয়স পাঁচ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরের অর্ধেক কাঁদামাটিতে আটকা পড়ে ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এদের মধ্যে আটজনই শিশু।

ইসাউ গোঞ্জালেজ (৪২) নামের এক বাসিন্দা বলেন, নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে এবং মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে গুয়াতেমালায় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে মে মাস থেকে নভেম্বরে এই ঝুঁকি বেশি থাকে।

লোকজন বলছেন, তারা জানেন যেখানে তারা বসবাস করছেন তা নিরাপদ নয়। কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ৫৯ শতাংশ। সে কারণে বেশিরভাগ মানুষই ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি-ঘরে বাস করেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জন ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ২১ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া চারটি রাস্তা এবং নয়টি ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

গুয়াতেমালায় ভূমিধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ১২

আপডেট : ০৭:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গুয়াতেমালায় ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরো ১২ জন।

গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন ফর ডিজেস্টার রিডাকশন এজেন্সি (কনরেড) জানিয়েছে, সোমবার শুরুর দিকে নারাঞ্জো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় একটি সেতুর নিচে থাকা অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেসে গেছে।

অনুসন্ধান কুকুর এবং উদ্ধারকারী দলগুলো বন্যার পানিতে মারা যাওয়া ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে যার বয়স পাঁচ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরের অর্ধেক কাঁদামাটিতে আটকা পড়ে ছিল। তবে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এদের মধ্যে আটজনই শিশু।

ইসাউ গোঞ্জালেজ (৪২) নামের এক বাসিন্দা বলেন, নদীর পানিতে বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে। জিনিসপত্র ভেসে গেছে এবং মানুষজন নিখোঁজ হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে গুয়াতেমালায় ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে মে মাস থেকে নভেম্বরে এই ঝুঁকি বেশি থাকে।

লোকজন বলছেন, তারা জানেন যেখানে তারা বসবাস করছেন তা নিরাপদ নয়। কিন্তু তাদের কিছুই করার নেই। দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ৫৯ শতাংশ। সে কারণে বেশিরভাগ মানুষই ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি-ঘরে বাস করেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জন ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ২১ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া চারটি রাস্তা এবং নয়টি ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।