বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করতেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। কোন পক্ষ নেওয়ার উদ্দেশ্যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রকে। এর জবাবে মিলার বলেন, ভিসা নীতির রেকর্ডগুলো গোপনীয়। তবে এখনো আমরা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সদস্যদের নাম ঘোষণা করিনি। তবে আমরা এটা স্পষ্ট করেছি যে, এটি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই ভিসা নীতি কার্যকর হবে।
এরআগে, রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমও আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি।