ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ দেশের বেশ কয়েকটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করেছে চীন। ছোট-বড় ও মাঝারি মিলিয়ে চীনের অর্থায়নে ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। চীনের মোট বিনিয়োগের প্রায় ৭০ শতাংশই হয়েছে দেশটির ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর অধীনে। সহজ শর্তে বিনিয়োগ করলেও অবকাঠামোর গুরুত্ব বুঝে ঋণ নেয়া এবং ব্যয় কমাতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ চীন। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশে আসার পর দুদেশের সম্পর্ক ও ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন গতি পায়। দেশে ছোট-বড় ও মাঝারি মিলিয়ে চীনের অর্থায়নে চলমান ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে বড় প্রকল্প ৯টি। এতে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ৮ দশমিক আট বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এর প্রায় ৭০ শতাংশই চীন সরকারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ৪ দশমিক চার-সাত বিলিয়ন ডলার।

বিআরইয়ের অধীনে চীনের অর্থায়নে নির্মিত বড় দুইটি প্রকল্প- পদ্মা রেল সেতু ও কর্ণফুলী নদীর জলের তলে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। এসব প্রকল্প দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারের নেতারা।

অর্থনীতিবিদ এম এ রাজ্জাকের মতে, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ মানেই ঋণ পরিশোধের চাপ। গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প বাছাই ও ঋণ নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতির এই গবেষকের।

চীন থেকে ঋণ নেয়া বড় ৯টি প্রকল্পের মধ্যে সব শেষ প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে শেষ হতে পারে বলে ধারণা করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ

আপডেট সময় : ০২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ দেশের বেশ কয়েকটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করেছে চীন। ছোট-বড় ও মাঝারি মিলিয়ে চীনের অর্থায়নে ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। চীনের মোট বিনিয়োগের প্রায় ৭০ শতাংশই হয়েছে দেশটির ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর অধীনে। সহজ শর্তে বিনিয়োগ করলেও অবকাঠামোর গুরুত্ব বুঝে ঋণ নেয়া এবং ব্যয় কমাতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ চীন। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশে আসার পর দুদেশের সম্পর্ক ও ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন গতি পায়। দেশে ছোট-বড় ও মাঝারি মিলিয়ে চীনের অর্থায়নে চলমান ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে বড় প্রকল্প ৯টি। এতে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ ৮ দশমিক আট বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এর প্রায় ৭০ শতাংশই চীন সরকারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ৪ দশমিক চার-সাত বিলিয়ন ডলার।

বিআরইয়ের অধীনে চীনের অর্থায়নে নির্মিত বড় দুইটি প্রকল্প- পদ্মা রেল সেতু ও কর্ণফুলী নদীর জলের তলে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল। এসব প্রকল্প দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারের নেতারা।

অর্থনীতিবিদ এম এ রাজ্জাকের মতে, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ মানেই ঋণ পরিশোধের চাপ। গুরুত্ব বুঝে প্রকল্প বাছাই ও ঋণ নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতির এই গবেষকের।

চীন থেকে ঋণ নেয়া বড় ৯টি প্রকল্পের মধ্যে সব শেষ প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে শেষ হতে পারে বলে ধারণা করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।