১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে একই পরিবারের ৫ সদস্যসহ ৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ইসরায়েলে দুটি পৃথক বন্দুক হামলায় একই পরিবারের ৫ সদস্যসহ মোট ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বাসমাত তাবুন শহরে গুলি করে হত্যা করা হয় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত ৫ জনের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ। সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, নিহতরা সম্পর্কে বাবা-মা ও তাদের তিন সন্তান বলে নিশ্চিত করেছে পর্যবেক্ষক সংগঠন আব্রাহাম ইনিশিয়েটিভস। এর আগে হাইফা শহরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন আরেক ব্যক্তি।

একই দিনে সংঘটিত দুটি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। হাইফার যে এলাকায় প্রথম হত্যাকাণ্ডটি হয়েছিল, সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের ৯৭ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই ফিলিস্তিনি নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও সরকারের অবহেলার শিকার তাঁরা। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। সেখানে অপরাধী ও মাদক কারবারিরা অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন জিভির গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো এসব এলাকায় সহিংসতা আরও বেড়েছে।

আব্রহাম ইনিশিয়েটিভসের হিসাবে, চলতি বছরে ইসরায়েলে অন্তত ১৮৮ ফিলিস্তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। সবশেষ দুটি হত্যাকাণ্ডের পর সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই জননিরাপত্তা মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে। এ ছাড়া অবিলম্বে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অপরাধ মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে হবে। এটি একটি জরুরি অবস্থা।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ইসরায়েলে একই পরিবারের ৫ সদস্যসহ ৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

আপডেট : ০৬:৫৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলে দুটি পৃথক বন্দুক হামলায় একই পরিবারের ৫ সদস্যসহ মোট ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বাসমাত তাবুন শহরে গুলি করে হত্যা করা হয় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত ৫ জনের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ। সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, নিহতরা সম্পর্কে বাবা-মা ও তাদের তিন সন্তান বলে নিশ্চিত করেছে পর্যবেক্ষক সংগঠন আব্রাহাম ইনিশিয়েটিভস। এর আগে হাইফা শহরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন আরেক ব্যক্তি।

একই দিনে সংঘটিত দুটি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। হাইফার যে এলাকায় প্রথম হত্যাকাণ্ডটি হয়েছিল, সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের ৯৭ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই ফিলিস্তিনি নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও সরকারের অবহেলার শিকার তাঁরা। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। সেখানে অপরাধী ও মাদক কারবারিরা অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন জিভির গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো এসব এলাকায় সহিংসতা আরও বেড়েছে।

আব্রহাম ইনিশিয়েটিভসের হিসাবে, চলতি বছরে ইসরায়েলে অন্তত ১৮৮ ফিলিস্তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। সবশেষ দুটি হত্যাকাণ্ডের পর সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই জননিরাপত্তা মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে। এ ছাড়া অবিলম্বে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অপরাধ মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে হবে। এটি একটি জরুরি অবস্থা।