চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে ১০ কোটি ৯৪ লাখের বেশি বন্ধ মোবাইল সিম নতুন মালিকানায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছে বেসরকারি তিন মোবাইল অপারেটর। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৮ কোটি ৭১ লাখের বেশি সিম। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া সিম বিক্রির আগে পুরোনো গ্রাহককে অবগত করার প্রক্রিয়া যাথেষ্ট নয় বলে মনে করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৮ কোটি। একজন গ্রাহক টানা দেড় বছর সিম বন্ধ রাখলে, মালিকানা চলে যায় অপারেটরের হাতে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানায়, গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ১০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি সিম পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
এরমধ্যে গ্রামীণফোনের প্রায় ৬ কোটি ২৫ লাখ, রবির ৩ কোটি ৯৪ লাখ আর বাংলালিংকের সিম পুনর্ব্যবহার উপযোগী হয়েছে ৭৩ লাখ। পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা সিমগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৮ কোটি ৭১ লাখেরও বেশি সিম। এগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন বিক্রি করেছে প্রায় ৫ কোটি ৯৬ লাখ, রবি ২ কোটি ৬ লাখ আর বাংলালিংক বিক্রি করেছে ৬৮ লাখ সিম।
অপারেটরদের দাবি, নতুন সিমের সংকটে পুরোনোগুলো পুনর্ব্যবহার উপযোগী করে বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন করে বিক্রির আগে সংবাদপত্রে ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েবসাইটে নম্বরগুলো দেওয়া হয়।
বেসরকারি মোবাইলফোন অপারেটর রবি’র চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের অফার এবং এফরটেবল রেটে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য বা ভয়েস সার্ভিস ব্যবহারের জন্য কাস্টমাররা একটা বা দুটা সিম রাখে। যতই দিন যাচ্ছে আমরা নম্বরের লিমিটেশনে পড়ে যাচ্ছি।’
আরেক বেসরকারি মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, ‘বিটিআরসির ডিরেক্টিভ অনুযায়ী আমরা একদিকে যেমন পত্রিকায় জানাচ্ছি একই সাথে আমাদের ওয়েবসাইট এবং বিটিআরসির ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও জানাচ্ছি।’
ক্যাব বলছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সিম বন্ধ করে দেওয়ার অনেক অভিযোগ আছে। মালিকানা পরিবর্তনের আগে গ্রাহককে জানানোর কাজে আরও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ তাদের।
সংগঠনটির সহসভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে নম্বর দিয়ে এটা আমাদের নজরে পড়ে নাই। বিটিআরসির ওয়েবসাইটেও দেখি নাই। একটা অলটারনেটিভ নম্বরে বলার পরে তাকে যদি নোটিস করা হয় বাই রিটেইন, তাহলে এটা খুবই ইফেক্টিভ হবে।’
বন্ধ সিম পুনর্ব্যবহার উপযোগী করার বিষয়ে কীভাবে সহজে গ্রাহককে জানানো যায়, তা নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে অপারেটররা।