যে ‘ভূতুড়ে’ গ্রামে বাস করে না কেউ
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
ভারতের মরুরাজ্য রাজস্থানে রয়েছে দর্শনীয় নানা স্থান। এর মধ্যে অন্যতম সূর্যগড় প্রাসাদ। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি, এটি রাজস্থানের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিবাহ গন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি। যেখানে বলিউড তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, অনেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই প্রাসাদের একেবারে কাছেই রয়েছে একটি ‘ভূতুড়ে’ গ্রাম।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সূর্যগড় প্রাসাদের কয়েক মাইল দূরেই কুলধারা নামে একটি জায়গা আছে, যা ‘ভূতুড়ে’ গ্রাম হিসেবে পরিচিত। রাজস্থানের এই গ্রাম বার বার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে।
কুলধারা গ্রামে একসময়ে ছিল রাজস্থানের পালিওয়াল ব্রাহ্মণদের বাস। উনিশ শতকের শুরু থেকেই এই গ্রামটি পরিত্যক্ত। কেউ এই গ্রামে আর থাকেন না। কথিত আছে গ্রাম প্রধানের মেয়ের ওপর সেলিম সিং নামে এক ব্যক্তির নজর পড়েছিল। যিনি ওই তরুণীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পালিওয়াল ব্রাহ্মণরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ব্রাহ্মণদের ওপর শুরু হয় অত্যাচার। অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও মেয়ের সম্মান বাঁচাতে কুলধারা গ্রামের সব বাসিন্দা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যান।
কুলধারা গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষি, পশুপালন ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কথিত আছে, গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণরা অভিশাপ দিয়ে যান যে ওই গ্রামে আর কখনও কেউ বসবাস করতে পারবে না। এই ঘটনার সত্যতা না জানা গেলেও কোন অজানা কারণে ওই গ্রামটি ফাঁকা থেকে যায়।
২০১৫ সালে রাজস্থান সরকার জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কসের সঙ্গে অংশীদারত্বে গ্রামটিকে পর্যটনস্থল হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর পর্যটকদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয় না। স্থানীয়দের বিশ্বাস, অশরীররী আত্মারা এখনও সেখানে ঘুরে বেড়ায়। পরিত্যক্ত এই গ্রাম ঘুরে দেখতে আসেন পর্যটকেরা। একটি মন্দির সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। কিছু বাড়িও সংস্কার করা হয়েছে পর্যটকদের দেখানোর জন্য।