ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জীবনের শেষবেলাতে স্কুলে ভর্তি হলেন সালিমা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বয়স যে কেবল সংখ্যা, আবারও তার প্রমাণ মিলল। ৯২ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা সালিমা খান। অদম্য ইচ্ছার কাছে সবকিছু যে তুচ্ছ তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, ইচ্ছা থাকলেও সারা জীবনে পড়ার সুযোগ মেলেনি সালিমার। জীবনের শেষবেলাতে সেই আক্ষেপটুকু পূরণ করতে চান তিনি। এ জন্যই ৯২ বছরে ভর্তি হয়েছেন স্কুলে। নতুন করে শিখছেন স্বরবর্ণ, ব্যাঞ্জনবর্ণ আর ১,২,৩,৪…। বেশ উৎসাহ নিয়ে পড়াশোনা করছেন এই বৃদ্ধা।

সালিমা খানের জন্ম ১৯৩১ সালে। ব্রিটিশদের কাছ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর আগে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় সালিমার। পড়ালেখার ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয়নি। কারণ মেয়েদের জন্য স্কুলই ছিল না তখন গ্রামে। এরপর আটকে গেলেন সংসারের জাঁতাকলে। তবে দেরিতে হলেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সালিমার। নাতি-নাতনিদের বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দিব্যি এক বেঞ্চে বসে ক্লাস করছেন তিনি।

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে দেখা যায়, ছোট্টবেলার মতো মাথা দুলিয়ে ১ থেকে ১০০ গুণছেন ৯২ বছরে ওই বৃদ্ধা। তাঁর এই অদম্য স্পৃহা দেখে মুগ্ধ ছোট-বড় সকলে। রীতিমতো ভাইরাল সেই ভিডিও।

বৃদ্ধা সালিমা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘ আমার পড়তে খুব ভালো লাগছে। গুনতে না পারায় প্রায়ই একটু আদটু বেশি টাকা নিয়ে পালাত নাতি-নাতনিরা। তবে সেদিন এখন শেষ। আর আমাকে ঠকাতে পারবে না।’

প্রথমে অবশ্য সালিমাকে স্কুলে ভর্তি নিতে একটু ইতস্তত বোধ করেছিলেন শিক্ষকরা। পরে অবশ্য তাঁর অদম্য ইচ্ছা দেখে ভর্তি করানো হয়। পড়াশোনায় তিনি বেশ মনোযোগী বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

সালিমার স্কুলে যাওয়া অনুপ্রাণিত করেছে গ্রামের অন্য নারীদেরও। এত বয়সেও বৃদ্ধার পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে তাঁর গ্রামের ২৫ নারী ভর্তি হয়েছেন স্কুলে। এমনকি পড়াশোনা শিখতে শুরু করেছের তাঁর দুই পুত্রবধূও।

নিউজটি শেয়ার করুন

জীবনের শেষবেলাতে স্কুলে ভর্তি হলেন সালিমা

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বয়স যে কেবল সংখ্যা, আবারও তার প্রমাণ মিলল। ৯২ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা সালিমা খান। অদম্য ইচ্ছার কাছে সবকিছু যে তুচ্ছ তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, ইচ্ছা থাকলেও সারা জীবনে পড়ার সুযোগ মেলেনি সালিমার। জীবনের শেষবেলাতে সেই আক্ষেপটুকু পূরণ করতে চান তিনি। এ জন্যই ৯২ বছরে ভর্তি হয়েছেন স্কুলে। নতুন করে শিখছেন স্বরবর্ণ, ব্যাঞ্জনবর্ণ আর ১,২,৩,৪…। বেশ উৎসাহ নিয়ে পড়াশোনা করছেন এই বৃদ্ধা।

সালিমা খানের জন্ম ১৯৩১ সালে। ব্রিটিশদের কাছ ভারত স্বাধীন হওয়ার দুই বছর আগে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় সালিমার। পড়ালেখার ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয়নি। কারণ মেয়েদের জন্য স্কুলই ছিল না তখন গ্রামে। এরপর আটকে গেলেন সংসারের জাঁতাকলে। তবে দেরিতে হলেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সালিমার। নাতি-নাতনিদের বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দিব্যি এক বেঞ্চে বসে ক্লাস করছেন তিনি।

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে দেখা যায়, ছোট্টবেলার মতো মাথা দুলিয়ে ১ থেকে ১০০ গুণছেন ৯২ বছরে ওই বৃদ্ধা। তাঁর এই অদম্য স্পৃহা দেখে মুগ্ধ ছোট-বড় সকলে। রীতিমতো ভাইরাল সেই ভিডিও।

বৃদ্ধা সালিমা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘ আমার পড়তে খুব ভালো লাগছে। গুনতে না পারায় প্রায়ই একটু আদটু বেশি টাকা নিয়ে পালাত নাতি-নাতনিরা। তবে সেদিন এখন শেষ। আর আমাকে ঠকাতে পারবে না।’

প্রথমে অবশ্য সালিমাকে স্কুলে ভর্তি নিতে একটু ইতস্তত বোধ করেছিলেন শিক্ষকরা। পরে অবশ্য তাঁর অদম্য ইচ্ছা দেখে ভর্তি করানো হয়। পড়াশোনায় তিনি বেশ মনোযোগী বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

সালিমার স্কুলে যাওয়া অনুপ্রাণিত করেছে গ্রামের অন্য নারীদেরও। এত বয়সেও বৃদ্ধার পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে তাঁর গ্রামের ২৫ নারী ভর্তি হয়েছেন স্কুলে। এমনকি পড়াশোনা শিখতে শুরু করেছের তাঁর দুই পুত্রবধূও।