সুদানে অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তোলার অভিযোগে সুদানের এক ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত শুরু হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে ওয়াশিংটন। সেই নিষেধাজ্ঞার সর্বশেষ দফা ঘোষণা করা হয় গতকাল বৃহস্পতিবার।
ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, যারা সুদানে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাকে ব্যহত করেছেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আজকের নিষেধাজ্ঞা কাজ করবে। যারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এ ধরনের সংঘাত জারি রাখে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিতেই থাকব।
ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাটি সুদানের প্রেসিডেন্ট বশিরের অধিনস্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী কার্তির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি সুদানী ইসলামিক আন্দোলনের নেতা হয়েছিলেন। সুদানের এই নেতা দেশটিতে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে সক্রিয়ভাবে বাধা দিচ্ছেন। এমনকি গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের পথেও তিনি বাধা তৈরি করছেন।
এ ছাড়া জিএসকে অ্যাডভান্স কোম্পানি ও এভিয়াট্রেড কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। জিএসকে অ্যাডভান্স একটি সুদানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, যারা আরএসএফ বাহিনীর প্রকিউরমেন্ট চ্যানেল হিসেবে কাজ করে। এটি রাশিয়াভিত্তিক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এভিয়াট্রেডের সঙ্গে কাজ করে। আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগ বলছে, এভিয়াট্রেড ড্রোনের যন্ত্রাংশ সরবরাহের পাশাপাশি ড্রোন পরিচালনার প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে।
তবে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে আরএসএফ। বাহিনীটির উপদেষ্টা মোস্তফা মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল জাজিরাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরএসএফের কোনও সম্পর্ক নেই।