আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনারা আগামী মাসে ফাইনাল খেলার ডাক দিয়েছেন, আমরা চাই খেলতে। আমি ফাইনাল খেলার কথা বাদ দিলাম, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, সেমিফাইনালে আপনারা পরাজিত হয়ে গেছেন। সেমিফাইনালের পরে ফাইনাল খেলতে পারবেন কি না, সেই শঙ্কা আছে। আপনারা আসুন আর না আসুন, দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপনে কৃষক লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগ মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অনুরোধ করব কালকের সমাবেশ লক্ষ্য করার জন্য। আসেন এবং দেখেন, চাইলে আপনাকে বক্তৃতারও সুযোগ দেওয়া হবে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা হচ্ছে, যারা এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। বিএনপি-জামায়াত ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, ছাগলের তিন নম্বর ছানা। যারা তাদের বাতাস দিচ্ছে আর সেই বাতাসে ফখরুল সাহেব লাফায়, আমীর খসরু সাহেব লাফায়, সঙ্গে শামা ওবায়েদ, নিপুণ রায় লাফায়। এই লাফালাফি করে কোনো লাভ হবে না। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা যেমন দুধ পায় না শুধু লাফায়, আপনারা শুধু লাফাতেই থাকবেন।’
নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতার আসনে বসবেন। আপনারা যেমন ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে ভেবেছিলেন সরকার টিকবে না, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ভেবেছিলেন সরকার টিকবে না, সাড়ে চার বছর পূর্ণ করেছি, আর তিন মাসের মাথায় পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। আগামী নির্বাচনেও আসলে ভালো, না আসলে কোনো অসুবিধা নেই। আমরা চাই, আপনারা আসুন নির্বাচনে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।