ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কানাডা সব খুনিদের আবাসস্থল হতে পারে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চরমে পৌঁছেছে। নিজ্জর হত্যার ঘটনায় কানাডা শুরু থেকেই ভারতকে দায়ী করে আসছে। তবে ভারত এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে কানাডাকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল বলে মন্তব্য করে। এবার ভারতের এমন মন্তব্যে সায় দিয়ে বাংলাদেশও অপরাধীদের প্রত্যাপর্ণের ক্ষেত্রে কানাডার সমালোচনা করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নুর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় রয়েছেন। সরকার তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টায় কানাডার সহযোগিতায় চাইলে কানাডা সরকার এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন মন্তব্য করেছেন, কানাডা সব খুনিদের আবাসস্থল হতে পারে না। একদিকে খুনিরা কানাডায় গিয়ে নিরাপদে রয়েছে, অন্যদিকে নিহতের পরিবারের আত্মীয়রা কষ্টে দিনযাপন করছেন।

কানাডার মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের সমালোচনা মোমেন বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন এবং সরকার এতে হস্তক্ষেপ করে না।‘

এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তিত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সুযোগ আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিরে এসে নূর চৌধুরী ও রশিদ চৌধুরী উভয়ই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে তাদের আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন এবং মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে পারেন।’

বিদ্যমান বন্দী প্রত্যর্পণ নীতি থেকে কানাডার সরে আসা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ এবং সব সময়ই আশার পিঠে আশা রাখি। আমি বিশ্বাস করি, কানাডা সরকার একদিন এই নীতি (প্রত্যর্পণ) পরিবর্তন করবে। কারণ, কানাডা বিভিন্ন দেশের খুনিদের একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।’

তিনি বলেন, কেউ খুন করে বিভিন্ন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে কানাডায় খুব সহজেই আশ্রয় পেয়ে যায় এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কানাডা খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডা সব খুনিদের আবাসস্থল হতে পারে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চরমে পৌঁছেছে। নিজ্জর হত্যার ঘটনায় কানাডা শুরু থেকেই ভারতকে দায়ী করে আসছে। তবে ভারত এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে কানাডাকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল বলে মন্তব্য করে। এবার ভারতের এমন মন্তব্যে সায় দিয়ে বাংলাদেশও অপরাধীদের প্রত্যাপর্ণের ক্ষেত্রে কানাডার সমালোচনা করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নুর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় রয়েছেন। সরকার তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টায় কানাডার সহযোগিতায় চাইলে কানাডা সরকার এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন মন্তব্য করেছেন, কানাডা সব খুনিদের আবাসস্থল হতে পারে না। একদিকে খুনিরা কানাডায় গিয়ে নিরাপদে রয়েছে, অন্যদিকে নিহতের পরিবারের আত্মীয়রা কষ্টে দিনযাপন করছেন।

কানাডার মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের সমালোচনা মোমেন বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন এবং সরকার এতে হস্তক্ষেপ করে না।‘

এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তিত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সুযোগ আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিরে এসে নূর চৌধুরী ও রশিদ চৌধুরী উভয়ই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে তাদের আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন এবং মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে পারেন।’

বিদ্যমান বন্দী প্রত্যর্পণ নীতি থেকে কানাডার সরে আসা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাবাদী মানুষ এবং সব সময়ই আশার পিঠে আশা রাখি। আমি বিশ্বাস করি, কানাডা সরকার একদিন এই নীতি (প্রত্যর্পণ) পরিবর্তন করবে। কারণ, কানাডা বিভিন্ন দেশের খুনিদের একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।’

তিনি বলেন, কেউ খুন করে বিভিন্ন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে কানাডায় খুব সহজেই আশ্রয় পেয়ে যায় এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কানাডা খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।’