ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা তৈরি হয়নি’

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০১:১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ (শনিবার) দুপুরে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে গবেষণা কিন্তু বিশ্বব্যাপী চলছে। এরই মধ্যে দুটি টিকাও আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু সেই টিকাগুলো ব্যবহার হয় না, টিকাগুলোতেও আবার কিছু সমস্যা আছে। চার ধরনের ডেঙ্গু আছে, ভাইরাস আছে। টিকা নিলে দেখা যায়, কিছু ভাইরাস দমনে হচ্ছে, কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছে, তাদের অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। যে কারণে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার হচ্ছে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এসেই শুনতে পেলাম আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) পরীক্ষামূলকভাবে একটি টিকা তৈরি করেছে। সেটা এখনও পরীক্ষায় রয়েছে। তারা বলছে, তাদের এই টিকা বেশ কার্যকর। আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, প্রয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে আমরা এ টিকা ব্যবহার করত পারব। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে, আর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি আছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় ৭ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনেরে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এরই মধ্যে ৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি ৪ লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি এবং হাসপাতালগুলোতে দিচ্ছি। এছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেকগুণ বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে।

জাতিসংঘ অধিবেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে, আগামীতে কোনো ধরনের মহামারি এলে তা কী উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যক্ষ্মার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশ যেন শতভাগ যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা তৈরি হয়নি’

আপডেট সময় : ০১:১২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ (শনিবার) দুপুরে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে গবেষণা কিন্তু বিশ্বব্যাপী চলছে। এরই মধ্যে দুটি টিকাও আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু সেই টিকাগুলো ব্যবহার হয় না, টিকাগুলোতেও আবার কিছু সমস্যা আছে। চার ধরনের ডেঙ্গু আছে, ভাইরাস আছে। টিকা নিলে দেখা যায়, কিছু ভাইরাস দমনে হচ্ছে, কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছে, তাদের অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। যে কারণে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার হচ্ছে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এসেই শুনতে পেলাম আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) পরীক্ষামূলকভাবে একটি টিকা তৈরি করেছে। সেটা এখনও পরীক্ষায় রয়েছে। তারা বলছে, তাদের এই টিকা বেশ কার্যকর। আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, প্রয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে আমরা এ টিকা ব্যবহার করত পারব। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরী টিকা তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে, আর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি আছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় ৭ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনেরে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এরই মধ্যে ৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি ৪ লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি এবং হাসপাতালগুলোতে দিচ্ছি। এছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেকগুণ বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে।

জাতিসংঘ অধিবেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে, আগামীতে কোনো ধরনের মহামারি এলে তা কী উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যক্ষ্মার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশ যেন শতভাগ যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারে।