১২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এতে বাংলাদেশ ভীত নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারটি মার্কিন স্থানীয় সময় শুক্রবার সম্প্রচারিত হয়।

দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ জানে না। আওয়ামী লীগই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে, সুষ্ঠু নির্বাচনের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। যেকোনো অপরাধে তার সরকার বিচার নিশ্চিত করছে জানিয়ে, নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সাইবার নিরাপত্তা আইন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা…। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দিবো’— এই স্লোগানও আমার দেওয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময় স্বৈরশাসকরা দেশ শাসন করেছে। তাদের সময় সাধারণ মানুষের ভোট দিতে হয়নি। তারা ভোটের বাক্স ভরে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে দিয়েছেন। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম করে আজ আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন। সেটা আমরা করেছি।’

গুম-খুন নিয়ে উদ্বেগ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে তারা নিজেরাই তদন্ত করে দেখতে পারে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলেন, এক্ষেত্রে তাকে আবারও জেলে ফিরতে হবে এবং যেতে হবে আদালতে।

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি বলেন, আমার কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, র‌্যাব হোক, পুলিশ হোক বা যেটাই হোক, কেউ যদি কোনো রকম অন্যায় করে আামদের দেশে কিন্তু তার বিচার হয়। এ বিচারে কেউ কিন্তু রেহাই পায় না। অনেক সময় কোনো কাজ তারা অতিরিক্ত করে, করলে সেটা আমাদের দেশের আইনেই কিন্তু বিচার হচ্ছে। যেখানে এরকম বিচার হচ্ছে, সেখানে এ স্যাংশন কী কারণে?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদেরই দাবি ছিল। আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজকে এখন তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরও স্যাংশনস দেবে। দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার, সব মৌলিক অধিকারগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি। মানুষের সব রকমের মৌলিক অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল, বাংলাদেশ কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন হয়ে দেশে ফেরার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১ টায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।

আগামী সোমবার লন্ডনে প্রবাসীদের নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যান। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন যান।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৭:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এতে বাংলাদেশ ভীত নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারটি মার্কিন স্থানীয় সময় শুক্রবার সম্প্রচারিত হয়।

দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ জানে না। আওয়ামী লীগই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে, সুষ্ঠু নির্বাচনের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। যেকোনো অপরাধে তার সরকার বিচার নিশ্চিত করছে জানিয়ে, নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সাইবার নিরাপত্তা আইন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা…। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দিবো’— এই স্লোগানও আমার দেওয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময় স্বৈরশাসকরা দেশ শাসন করেছে। তাদের সময় সাধারণ মানুষের ভোট দিতে হয়নি। তারা ভোটের বাক্স ভরে নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে দিয়েছেন। এরই প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম করে আজ আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন। সেটা আমরা করেছি।’

গুম-খুন নিয়ে উদ্বেগ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে তারা নিজেরাই তদন্ত করে দেখতে পারে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলেন, এক্ষেত্রে তাকে আবারও জেলে ফিরতে হবে এবং যেতে হবে আদালতে।

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি বলেন, আমার কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, র‌্যাব হোক, পুলিশ হোক বা যেটাই হোক, কেউ যদি কোনো রকম অন্যায় করে আামদের দেশে কিন্তু তার বিচার হয়। এ বিচারে কেউ কিন্তু রেহাই পায় না। অনেক সময় কোনো কাজ তারা অতিরিক্ত করে, করলে সেটা আমাদের দেশের আইনেই কিন্তু বিচার হচ্ছে। যেখানে এরকম বিচার হচ্ছে, সেখানে এ স্যাংশন কী কারণে?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদেরই দাবি ছিল। আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজকে এখন তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরও স্যাংশনস দেবে। দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার, সব মৌলিক অধিকারগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি। মানুষের সব রকমের মৌলিক অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল, বাংলাদেশ কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন হয়ে দেশে ফেরার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১ টায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।

আগামী সোমবার লন্ডনে প্রবাসীদের নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যান। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন যান।