২৫ বছরে পা রাখলো ‘চ্যানেল আই’
- আপডেট সময় : ০৬:৪২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’-এর জন্মদিন আজ। পথ চলার ২৪ বছর পূর্ণ করে আজ রোববার (১ অক্টোবর) থেকে ২৫ বছরের পথচলা শুরু হয়েছে চ্যানেল আই’য়ের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই বর্ণিল ক্ষণে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অনেকেই।
চ্যানেল আই’য়ের জন্মদিন মানেই প্রধান প্রধান সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলো পুরো পৃষ্ঠা রঙিন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
ক্রোড়পত্রে দেশের প্রথম ডিজিটাল চ্যানেলের ২৫ বছরে পদার্পণে দর্শকশ্রোতা, কলাকুশলি ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন: বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আই এর পঁচিশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আমি চ্যানেলটির দর্শকশ্রোতা, কলাকুশলী, শুভানুধ্যায়ীসহ চ্যানেল আই পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চ্যানেল আই বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করে আসছে। দেশের কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ ও প্রকৃতির সংরক্ষণ এবং গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রসারে চ্যানেল আই এর প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি বাঙালির হাজার বছরের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্য লালন এবং তা বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে চ্যানেল আই অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করছি। আমি চ্যানেল আই এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ ২৫ বছরে পদার্পণ করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি চ্যানেলটির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করি, আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ‘চ্যানেল আই’ আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘চ্যানেল আই’ এর ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য এবং চ্যানেলটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চ্যানেল আই তার পথচলার ২৪ বছর পূর্ণ করেছে জেনে আমি আনন্দিত। ২৫ বছরে পদার্পণের এ আনন্দঘন মুহূর্তে চ্যানেল আই পরিবারের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। সেক্ষেত্রে চ্যানেল আই এগিয়ে রয়েছে। তাদের সংবাদ পরিবেশনায় রয়েছে বস্তুনিষ্ঠতা এবং আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল অনুষ্ঠান সম্প্রচারও তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে টেলিভিশন এখন মুহূর্তের মধ্যে সারাবিশ্বকে তুলে ধরছে। চ্যানেল আই সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের এই ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে, এমন প্রত্যাশা রইল।
ক্রোড়পত্রে ‘আপন চ্যানেল’ শিরোনামে বিশেষ নিবন্ধ লেখেন রামেন্দু মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ছোট্ট একটি পরিবার থেকে বিশ্বময় বাঙালির মাঝে স্বপ্ন ও শপথের এক আলোকবিন্দু হয়ে ওঠা একটি গণমাধ্যম চ্যানেল আই। এটি বাংলাদেশের গত চব্বিশ বছরের ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকা একটি বর্ণিল ক্যানভাস। আজ গভীর ভালোবাসা ও ভালোলাগা নিয়ে স্মরণ করছি চ্যানেল আইয়ের প্রথম দিনের সম্প্রচার ব্যস্ততার কথা। সেইদিন বিপুল সংখ্যক বাঙালি বন্ধু আমাদের দিকে তাদের আন্তরিক দৃষ্টি রেখেছিলেন, দেশবাসী চোখ রেখেছিলেন নতুন এক পর্দায়। আজও তাদের সেই ভালোবাসা দৃষ্টি সেখানেই রয়েছে। পথে পথে বাধা, প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ ছিল। মানুষের ভালোবাসার তোড়ে সেগুলো উৎরে গেছে চ্যানেল আই। বিশ্বময় বাঙালি বন্ধুদের জন্য ছড়িয়ে দিলাম পঁচিশের উচ্ছ্বাস।
চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের ৭ সদস্যের পক্ষ থেকে দর্শকশ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। ২৪ বছরের মতো আগামীর দিনগুলোতে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি বাঙালির সৃজনশীল কাজের সাথে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন তারা।