ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের রিজার্ভ ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই হিসাবে দেশের রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

রোরবার (১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অর্থাৎ গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, সবশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

একই সময়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়নের পরিমাণ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী, এখন দেশের রিজার্ভ ২৭ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর যা ছিল ২৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

সাধারণত, প্রতি মাসে গড়ে বিদেশ থেকে পণ্য কেনার জন্য ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। সেই হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় প্রায় ৪ মাসের মতো আমদানি খরচ মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে রিজার্ভ গণনায় আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত কাঠামো অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ রিজার্ভের বাইরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়া ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এছাড়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগও বাদ দেয়া হয়েছে। এসব খাতে প্রদত্ত ৫৯০ কোটি ডলার রিজার্ভ গণনায় হিসাবে নেয়া হয়নি।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলেন, নিয়মিত এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। ফলে রিজার্ভ কমছেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের রিজার্ভ ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই হিসাবে দেশের রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

রোরবার (১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অর্থাৎ গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, সবশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

একই সময়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়নের পরিমাণ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই হিসাব অনুযায়ী, এখন দেশের রিজার্ভ ২৭ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর যা ছিল ২৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

সাধারণত, প্রতি মাসে গড়ে বিদেশ থেকে পণ্য কেনার জন্য ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। সেই হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় প্রায় ৪ মাসের মতো আমদানি খরচ মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে রিজার্ভ গণনায় আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত কাঠামো অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ রিজার্ভের বাইরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়া ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এছাড়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগও বাদ দেয়া হয়েছে। এসব খাতে প্রদত্ত ৫৯০ কোটি ডলার রিজার্ভ গণনায় হিসাবে নেয়া হয়নি।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলেন, নিয়মিত এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। ফলে রিজার্ভ কমছেই।