ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এল সেপ্টেম্বরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী আয় বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কাজে দিচ্ছে না। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে গত সেপ্টেম্বরে। এ মাসে দেশে এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে, ২০২০ সালের এপ্রিলে এর চেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। এরপরে সেপ্টেম্বরের আগে আর কোনো মাসে এতো কম রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।

পরিসংখ্যান বলছে, বিদায়ী সেপ্টেম্বরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের একই মাসের (সেপ্টেম্বর) থেকে ১৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার কম। গত বছর সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের একটিতে এসেছে তিন কোটি ৫১ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্সই আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে, গত জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুনে রেকর্ড ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দাম ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি ছিল। তাই বেশি লাভের আশায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন প্রবাসীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এল সেপ্টেম্বরে

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

প্রবাসী আয় বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কাজে দিচ্ছে না। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে গত সেপ্টেম্বরে। এ মাসে দেশে এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে, ২০২০ সালের এপ্রিলে এর চেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। এরপরে সেপ্টেম্বরের আগে আর কোনো মাসে এতো কম রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।

পরিসংখ্যান বলছে, বিদায়ী সেপ্টেম্বরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের একই মাসের (সেপ্টেম্বর) থেকে ১৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার কম। গত বছর সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের একটিতে এসেছে তিন কোটি ৫১ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্সই আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে, গত জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুনে রেকর্ড ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দাম ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি ছিল। তাই বেশি লাভের আশায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন প্রবাসীরা।