বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফখরুল বলেছেন, মিথ্যা প্রতারণা করে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় সরকার হত্যা করতে চায়। তারা যে কথাগুলো বলছেন, সেটার উদ্দেশ্য একটাই তারা আসলে কাপুরুষ-ভীতু। তারা জানে খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে যান, আবার জনগণের মধ্যে ফিরে আসেন, তার ডাকে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তখন তাদের ধ্বংস হয়ে যাবে।
সরকারের পদত্যাগ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে কৃষক সমাবেশ আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘জনবিরোধী সরকার তাঁকে (খালেদা জিয়া) হত্যা করতে চায়। তাঁকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা প্রচারণা করে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠলে রাজনীতি করতে পারেন, এই আতঙ্ক থেকেই সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
ফখরুল বলেন, ‘সরকার চায় না খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হোক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
দণ্ডিত আসামিদেরও বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার উদাহরণ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রী। তিনি ক্ষমতায় এসেই কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ করেছেন। পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মওকুফ করেছেন। আর এখন ঋণের কারণে কৃষকের কোমড়ে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। এরা লুটেরা সরকার। এরা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি করছেন। অথচ, আজকে কৃষক ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। সারের দাম তিনগুণ বেড়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব জায়গা সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট করে টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এমন একটি ব্যবস্থা কায়েম করছে যে, সব টাকা আজ ওদের পকেটে। আজ কৃষক ভাইদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার কৃষকদের যে ধান কেনে, সেখানেও কমিশন। বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার ওপরও ওরা ভাগ বসায়। সত্যিকারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। আওয়ামী ব্যবসায়ীরা আজ ব্যবসা করছে। সাধারণ মানুষ চাকরি পায় না। বিশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেতে হয়।’
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলনেতা নাসরিন হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ।