ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টোকিওর রাস্তায় রিকশা নিয়ে ছুটে চলছেন তরুণী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রিকশা চালানো যে শুধু পুরুষের কাজ না সেটাই সবার সামনে তুলে ধরেছেন জাপানের এক তরুণী। ২২ বছর বয়সী ইউকা আকিমোতো সমাজের তৈরি প্রথার দেয়াল ভেঙেছেন। রাজধানী টোকিওর রাস্তায় ছুটে চলছেন নিজের রিকশা নিয়ে।

গ্রীষ্মের প্রখর রোদেও রিকশা নিয়ে ছুটে চলেন আকিমোতো। টোকিওতে মুষ্টিমেয় নারী রিকশাচালকের একজন তিনি। শুধু রিকশা চালানো না, এর পাশাপাশি পর্যটকদের স্থানীয় সংস্কৃতি বুঝতে সাহায্য করেন তিনি।

করোনা মহামারীর আগে টোকিওর ডিজনিল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল তার। মহামারিতে চাকরি গেলে, অনলাইনে নতুন করে কাজের খোঁজ করেন তিনি। খুঁজে বের করেন রিকশা চালানোর কাজ।

চার মাসের কঠোর প্রশিক্ষণ ও পরিশ্রমের পর এ কাজে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। প্রশিক্ষণে শেখানো হয়েছে কীভাবে দুই চাকার রিকশায় ২৫০ ওজন নিয়ে টানতে হয়।

এ ব্যাপারে ইউকা আকিমোতো বলেন, ‘খেলাধুলার ব্যাপারে আমার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকাই, প্রথমে আমার জন্য রিকশা চালানো অত্যন্ত কঠিন ছিল। রিকশা তুলতে বা থামানোর সময় ফেলে দেওয়ার মতো সমস্যা পড়েছি প্রথমে। পরে আমি হাল ছাড়বো না ট্যাগ লেপ্টে দিয়েছিলাম আমার গলায়।’

রিকশা চলানোয় দুই বছরের অভিজ্ঞতায় গর্বিত আকিমোতো। তবে তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সমাজে প্রচলিত দীর্ঘদিনের বাঁধা ভেঙে এগিয়ে যাওয়া।

রিকশা নিয়ে

ইউকা আকিমোতো আরও বলেন, ‘অন্য জায়গা থেকে আসা মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে বলতো- মেয়ে মানুষ রিকশা চালায়! আসাকুসা অঞ্চলে হয়তো রিক্সাওয়ালী হিসেবে কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছি। তবে আমি এই প্রোফাইলটাকে আরও উঁচুতে নিতে চাই, যাতে মানুষ জানবে যে মেয়েরাও রিকশা চালানোর কাজ করতে পারে।

আবহাওয়া যেমনই হোক না কেনো, আকিমোতো ও তার চালানোর সহকর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ২০ কিলোমিটার রিকশা চালান।

টোকিওতে দিন দিন বাড়ছে নারী রিকশা চালকের সংখ্যা। গত চার বছরে ৪ জন থেকে নারী রিকশা চালকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। যা মোট রিকশা চালকদের ৩০ শতাংশ।

জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য পুরুষ রিকশা চালকদের মতো নারীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। সবচেয়ে দক্ষ ও জনপ্রিয় চালক প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৬ হাজার ডলারের বেশি আয় করেন, যা জাতীয় পর্যায়ের মাসিক মজুরির তিনগুণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

টোকিওর রাস্তায় রিকশা নিয়ে ছুটে চলছেন তরুণী

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

রিকশা চালানো যে শুধু পুরুষের কাজ না সেটাই সবার সামনে তুলে ধরেছেন জাপানের এক তরুণী। ২২ বছর বয়সী ইউকা আকিমোতো সমাজের তৈরি প্রথার দেয়াল ভেঙেছেন। রাজধানী টোকিওর রাস্তায় ছুটে চলছেন নিজের রিকশা নিয়ে।

গ্রীষ্মের প্রখর রোদেও রিকশা নিয়ে ছুটে চলেন আকিমোতো। টোকিওতে মুষ্টিমেয় নারী রিকশাচালকের একজন তিনি। শুধু রিকশা চালানো না, এর পাশাপাশি পর্যটকদের স্থানীয় সংস্কৃতি বুঝতে সাহায্য করেন তিনি।

করোনা মহামারীর আগে টোকিওর ডিজনিল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল তার। মহামারিতে চাকরি গেলে, অনলাইনে নতুন করে কাজের খোঁজ করেন তিনি। খুঁজে বের করেন রিকশা চালানোর কাজ।

চার মাসের কঠোর প্রশিক্ষণ ও পরিশ্রমের পর এ কাজে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। প্রশিক্ষণে শেখানো হয়েছে কীভাবে দুই চাকার রিকশায় ২৫০ ওজন নিয়ে টানতে হয়।

এ ব্যাপারে ইউকা আকিমোতো বলেন, ‘খেলাধুলার ব্যাপারে আমার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকাই, প্রথমে আমার জন্য রিকশা চালানো অত্যন্ত কঠিন ছিল। রিকশা তুলতে বা থামানোর সময় ফেলে দেওয়ার মতো সমস্যা পড়েছি প্রথমে। পরে আমি হাল ছাড়বো না ট্যাগ লেপ্টে দিয়েছিলাম আমার গলায়।’

রিকশা চলানোয় দুই বছরের অভিজ্ঞতায় গর্বিত আকিমোতো। তবে তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সমাজে প্রচলিত দীর্ঘদিনের বাঁধা ভেঙে এগিয়ে যাওয়া।

রিকশা নিয়ে

ইউকা আকিমোতো আরও বলেন, ‘অন্য জায়গা থেকে আসা মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে বলতো- মেয়ে মানুষ রিকশা চালায়! আসাকুসা অঞ্চলে হয়তো রিক্সাওয়ালী হিসেবে কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছি। তবে আমি এই প্রোফাইলটাকে আরও উঁচুতে নিতে চাই, যাতে মানুষ জানবে যে মেয়েরাও রিকশা চালানোর কাজ করতে পারে।

আবহাওয়া যেমনই হোক না কেনো, আকিমোতো ও তার চালানোর সহকর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ২০ কিলোমিটার রিকশা চালান।

টোকিওতে দিন দিন বাড়ছে নারী রিকশা চালকের সংখ্যা। গত চার বছরে ৪ জন থেকে নারী রিকশা চালকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। যা মোট রিকশা চালকদের ৩০ শতাংশ।

জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য পুরুষ রিকশা চালকদের মতো নারীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। সবচেয়ে দক্ষ ও জনপ্রিয় চালক প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৬ হাজার ডলারের বেশি আয় করেন, যা জাতীয় পর্যায়ের মাসিক মজুরির তিনগুণ।